গতকাল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হয়েছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। যদিও এবারের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের মাটিতে। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ থেকে আসর সরিয়ে নেয় আইসিসি। বিকল্প ভেন্যুতে বিশ্বকাপ শুরু হলেও আসরটির আয়োজক বাংলাদেশই থাকছে।

বিশ্বকাপ শুরুর আগমুহূর্তে আরব আমিরাত সফরে গিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া এবং মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল। এই সফরে আছেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিমও। পরে গতকাল বাংলাদেশ নারী দলের প্রথম জয় মাঠে বসে দেখেছেন তারা। 

এরপর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আজকের (গতকাল) খেলা দেখার পর বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সফলতার ব্যাপারে আশাবাদী। আমি মূলত এসেছি যেহেতু এই নারী বিশ্বকাপটা বাংলাদেশে হওয়ার কথা ছিল। বিশেষ পরিস্থিতির কারণে আমরা পারিনি।’

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যে আয়োজক, সেটার একটা দাম আছে দুবাইয়ে। যেহেতু আমরা আয়োজক, তাই ঘুরে দেখলাম। একই সঙ্গে আইসিসি একাডেমি মাঠ ঘুরে দেখেছি। এখানকার যে ক্রীড়া অবকাঠামো, সেটা বাংলাদেশে আমরা কীভাবে করতে পারি, সেই শিক্ষাটা নিতেই মূলত (আমিরাতে আসা)।’

পরে নারী দলকে নিয়ে বলেন, 'নারী ক্রিকেট দল যে অবহেলিত থাকবে না, সেটা আপনারা হয়তো আমার এখানে উপস্থিতি দেখেই বুঝতে পারবেন। নারী ক্রিকেট দলের অর্জন তুলনামূলকভাবে যেহেতু বেশি এবং আমরা আশা করছি, এই বিশ্বকাপেও তারা একটা ভালো অর্জন দেশের জন্য নিয়ে আসতে পারবে। সামনের দিনগুলোতে যেন তাদের (নারী) যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে পারি, এই অভিযোগটা (অবহেলা) যেন না আসে, সেজন্য আমরা কাজ করব।'

উল্লেখ্য, নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পাঁচ আসরে অংশ নিলেও কেবল দুই ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। এর মধ্যে গত চারটি বিশ্বকাপেই ছিল জয়হীন। সেই খরা এবার কেটেছে। ১০ বছর পর এই টুর্নামেন্টে কোনো ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিশ্বকাপের এবারের আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে স্কটিশদের ১৬ রানে হারিয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। আগামীকাল নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে টাইগ্রেসরা। 

এসএইচ/এফআই