মেয়ে আইরাকে নিয়ে শপিং মলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, আবেগে জড়িয়ে ধরছেন—মোহাম্মদ শামির এমন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। দীর্ঘদিন পর মেয়েকে কাছে পেয়ে আবেগপ্রবণ ভারতীয় পেসারের ছবিতে মুগ্ধ ভক্তরা। কিন্তু সেটা নাকি লোক দেখানো। এমনই অভিযোগ শামির ‘সাবেক’ স্ত্রী হাসিন জাহানের। তার দাবি, ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়বে বলে মেয়ের সঙ্গে দেখা করার সময় ভিডিওগ্রাফার নিয়ে গেছে।

এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও দিয়েছিলেন শামি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মেয়েকে নিয়ে শপিং মলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভারতীয় এই তারকা পেসার। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন হাসিন জাহান।

তিনি বলেন, ‘সব লোক দেখানো। মেয়ের পাসপোর্টের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। নতুন পাসপোর্টের জন্য শামির সই প্রয়োজন। সে কারণেই মেয়ে গিয়েছিল বাবার কাছে। কিন্তু শামি সই করেনি। মেয়েকে নিয়ে শপিং মলে ঘুরেছে। যে সংস্থার হয়ে শামি বিজ্ঞাপন করে, সেখানে নিয়ে গিয়েছিল। মেয়েকে সেই দোকান থেকে জুতা ও জামা কিনে দিয়েছে। ওখান থেকে কিছু নিলে শামির টাকা লাগে না। সে কারণেই ওখানে নিয়ে গিয়েছিল। মেয়ে একটা গিটার আর খেলনা ক্যামেরা চেয়েছিল, সেটা কিনে দেয়নি।’

শামির পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, বাবার হাত ধরে ঘুরছে আইরা। প্রথমে পোশাকের দোকানে দেখা যায় দু’জনকে। তারপরে জুতা, প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানেও কন্যাকে নিয়ে যান শামি। একটি দোকানে মেয়েকে জড়িয়ে ধরতে দেখা যায় ভারতীয় ক্রিকেটারকে। পুরো সময়ে তাদের ঘিরে রেখেছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা।

মেয়েকে দেখে নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি শামি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘এতদিন পরে ওকে আবার দেখে সময় থমকে গিয়েছিল। তোকে কতটা ভালোবাসি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’ বাবার সঙ্গে সময় কাটাতে পেরে খুশি দেখাচ্ছিল আইরাকেও। তাকে হাসি মুখে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। হাসিন যদিও বলেন, ‘মেয়ের কোনও খোঁজ নেয় না শামি। কোন স্কুলে পড়ছে, সেই স্কুল কেমন তা জানে না। শামি শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। এক মাস আগে মেয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তখন ভিডিয়ো পোস্ট করার কথা মনে হয়নি। এখন বোধ হয় পোস্ট করার মতো কিছু ছিল না, তাই মেয়ের ভিডিও দিল।’

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৬ জুন ভালোবেসে হাসিনকে বিয়ে করেছিলেন শামি। সেই সম্পর্ক এখন তলানিতে ঠেকেছে। ২০১৮ সালে নারী নির্যাতনের অভিযোগ এনে শামির সঙ্গে কার্যত বিবাহিত জীবনের ইতি ঘটান এই নারী। যদিও তাদের বিচ্ছেদ হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে ঝুলে রয়েছে মামলা। 

এফআই