ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করেছিল বাংলাদেশ দল। দুই টেস্টের কোনোটিতেই তারা লড়াই জমাতে পারেনি। লাল বলের সিরিজ শেষে আজ (বৃৃহস্পতিবার) দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের কয়েকজন সদস্য। পরে মিরপুর শের-ই বাংলায় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন নাহিদ রানা। জানিয়েছেন ভারত সিরিজ নিয়ে অভিজ্ঞতার কথা।

তরুণ এই পেসার ভারত ও পাকিস্তানে খেলার অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেছেন, ‘দুই জায়গাতেই আমি প্রসেসের মধ্যে ছিলাম। পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করেছি। পাকিস্তান ও ভারতের উইকেট সম্পূর্ণ ভিন্ন। দুই জায়গায় দুই রকম বোলিংয়ের পরিকল্পনা ছিল। এই জায়গাতেই অভিজ্ঞতা ভালো।’

দুই দেশের উইকেটের আচরণে পার্থক্য নিয়ে নাহিদ রানার ভাষ্য, ‘ভারতের পিচ প্রথম দুইদিন পেস বোলিং বান্ধব উইকেট ছিল। শেষ তিনদিনে সাহায্য ছিল স্পিনের। পাকিস্তানে ছিল স্পোর্টিং উইকেট, বোলিং ভালো করলে বোলিং, ব্যাটিং ভালো করলে ব্যাটিংয়ের পক্ষে। আর ভারতে তৃতীয়দিন থেকেই বল ঘোরে।’

বিদেশে সফর শেষে বাংলাদেশের পরবর্তী টেস্ট সিরিজ ঘরের মাঠে। মিরপুর ও চট্টগ্রামে এই মাসেই দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই এই মুহূর্তে নাহিদের লক্ষ্য নিজেকে ফিট রাখা, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যতদিন খেলব, শেখার কোনো শেষ নাই। ক্রিকেট ছাড়ার পরও শেখার শেষ নাই। আমি যে দেশেই যাচ্ছি যে কোচের অধীনেই কাজ করছি, তার কাছ থেকে অনেক কিছু নেওয়ার চেষ্টা করছি।’

প্রতিবারই দলের জন্য ভালো করার লক্ষ্যের কথা জানান নাহিদ রানা। এবারও নিজের ইচ্ছার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘আমাকে সবচেয়ে জোরে বল করতে হবে এরকম কোনো ইচ্ছে নেই। ইচ্ছে একটাই– নিজেকে ফিট রাখা। দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করা। দলের চাহিদা যদি পূরণ করতে পারি তাহলেই আমি খুশি।’

প্রসঙ্গত, পাকিস্তান সিরিজে বেশ ভালো পারফর্ম করা নাহিদ রানা ভারত সফরে সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি। যদিও সেখানে খেলেছেন কেবল প্রথম টেস্ট। চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে তিনি দুই উইকেট শিকার করেন। পরের টেস্টে কানপুরে নাহিদ ও তাসকিন আহমেদকে বিশ্রাম দিয়ে দলে নেওয়া হয় স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও পেসার খালেদ আহমেদকে। 

এসএইচ/এএইচএস