ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ন্যূনতম লড়াইও দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। দলীয় সাফল্য না পেলেও, ব্যক্তিগতভাবে বেশ কয়েকজন তুলনামূলক ভালো পারফর্ম করেছেন। যার সুবাদে টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাদমান ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের (ব্যাটিংয়ে অবনতি)। একইভাবে কয়েকজন ক্রিকেটার র‌্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়েছেন।

আজ (বুধবার) টেস্টে ছেলেদের সাপ্তাহিক র‍্যাঙ্কিংয়ের হালনাগাদ প্রকাশ করেছে আইসিসি। যেখানে বাংলাদেশ-ভারত ও শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড টেস্ট সিরিজের পারফরম্যান্সের বড় প্রভাব পড়েছে। টেস্ট বোলারদের তালিকায় ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে দুইয়ে নামিয়ে দিয়ে শীর্ষে উঠেছেন স্বদেশি পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। এ ছাড়া বোলারদের শীর্ষ দশে কেবল আরেকটি (প্রবাথ জয়সুরিয়া এক ধাপ এগিয়ে আটে) পরিবর্তন হয়েছে।

বাংলাদেশ-ভারতের কানপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪টি করে উইকেট নেন দুই টাইগার স্পিনার মিরাজ ও সাকিব। পরে দ্বিতীয় ইনিংসেও ২ উইকেট নেন মিরাজ। চার ধাপ এগিয়ে ডানহাতি এই অফস্পিনার ১৮ নম্বরে উঠে গেছেন। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে এখন তিনিই সবার ওপরে। সম্ভাব্য শেষ টেস্ট খেলা সাকিবও বোলিংয়ে এগিয়েছেন পাঁচ ধাপ, তার বর্তমান অবস্থান ২৮ নম্বরে। তবে পিছিয়েছেন তাইজুল ইসলাম (এক ধাপ পিছিয়ে ২০ নম্বরে), হাসান মাহমুদ (তিন ধাপ পিছিয়ে ৪৭), খালেদ আহমেদ (ছয় ধাপ পিছিয়ে ৮১) তাসকিন আহমেদ (এক ধাপ পিছিয়ে ৬৪)।

সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন মুমিনুল হক, যার সুবাদে তিনি ১৬ ধাপ লাফিয়ে ৪২ নম্বরে উঠেছেন। দুই ইনিংসে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি ওপেনার সাদমান ইসলাম। তবে যথাক্রমে ২৪ ও ৫০ রানের সুবাদে সাদমান বড় লাফ দিয়ে ১২ ধাপ এগিয়ে ৭৯ নম্বরে উঠে গেছেন। সে তুলনায় ব্যাটিংয়ে আর কেউ ‍উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি বাংলাদেশের। শান্ত দুই ও মিরাজ এগিয়েছেন এক ধাপ। এ ছাড়া সাকিব (আট ধাপ পিছিয়ে ৫১), মুশফিকুর রহিম (এক ধাপ পিছিয়ে ২৪), লিটন দাস (সাত ধাপ পিছিয়ে ২৭) ও জাকির হাসান (তিন ধাপ পিছিয়ে ৭৩) টেস্ট ব্যাটারদের তালিকায় পিছিয়েছেন।

টেস্ট ব্যাটারদের তালিকায় যথারীতি শীর্ষ দুইয়ে আছেন জো রুট ও কেইন উইলিয়ামসন। বাংলাদেশ সিরিজে দারুণ ব্যাটিং করা ভারতীয় ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল (দুই ধাপ এগিয়ে তিনে), বিরাট কোহলি (৬ ধাপ এগিয়ে ছয়ে) উঠেছেন। এ ছাড়া শীর্ষ দশে থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ান, উসমান খাজা ও মার্নাস লাবুশেনরা এগিয়েছেন।

এএইচএস