ক্যারিয়ারের শুরুতে নিজের দিকে স্পটলাইট টেনে নিয়েছিলেন বিচিত্র বোলিং অ্যাকশনের সুবাদে। তবে জাসপ্রিত বুমরাহ নিজেকে শুধু বোলিং অ্যাকশনের দিক থেকে থামিয়ে রাখেননি। প্রতিনিয়ত উন্নতি ঘটিয়েছেন নিজের। ম্যাচের পর ম্যাচ নিজেকে প্রমাণ করেছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলারও বলা চলে বুমরাহকে। 

বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও অনন্য ছিলেন বুমরাহ। নতুন বল হোক বা পুরাতন, রোহিত শর্মা যখনই ডাক দিয়েছেন, বুমরাহ প্রমাণ করেছেন নিজেকে। ৪ ইনিংস মিলিয়ে পেয়েছেন ১১ উইকেট। স্পিনবান্ধব পিচেও তার এই পারফরম্যান্স ছিল মনে রাখার মতোই। উইকেটপ্রতি দিয়েছেন মোটে ১২ দশমিক ৮১ রান। সেইসঙ্গে দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে নিজের নামটাও লিখিয়েছেন ক্রিকেটের সব কিংবদন্তি পেসারদের সঙ্গে। 

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ বুমরাহ শুরু করেছিলেন ৩৯৭ উইকেট দিয়ে। দুই টেস্ট শেষ করে পূরণ করেছেন ৪০০ আন্তর্জাতিক উইকেটের চক্র। বর্তমানে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৪০৮ উইকেট বুমরাহর। যেখানে টেস্ট ক্রিকেটে আছে ১৭০ উইকেট। আর ৪০০ উইকেট স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি পেছনে ফেলেছেন অ্যালান ডোনাল্ড, গ্লেন ম্যাকগ্রা, স্যার রিচার্ড হ্যাডলি কিংবা কার্টলি অ্যামব্রোসের মতো কিংবদন্তিদের। 

৪০৮ উইকেট শিকারের পথে জাসপ্রিত বুমরাহর গড় ২০.৮৮। অর্থাৎ ক্যারিয়ারে প্রতি ২১ রান খরচের আগেই একটি করে উইকেট পেয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কমপক্ষে ৪০০ উইকেট পেয়েছেন এমন পেসারদের মধ্যে বুমরাহর চেয়ে ভাল গড় আছে কেবল একজনেরই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিগ বার্ড নামে খ্যাত জোয়েল গার্নার ক্যারিয়ারে ৪০৫ উইকেট পেতে গড়ে খরচ করেছিলেন ২০.২০ রান। 

গড়ের দিক থেকে বুমরাহর পেছনে আছে ৯৪৯ উইকেট পাওয়া গ্লেন ম্যাকগ্রা। তার বোলিং গড় ২১.৭৬। ২২ এর নিচে গড় রেখে ক্যারিয়ারে ৪০০ এর বেশি উইকেট পেয়েছেন কেবল এই তিন পেসার। বাংলাদেশের সাবেক কোচ ও প্রোটিয়া কিংবদন্তি ডোনাল্ড ৬০২ উইকেটের ক্যারিয়ারে গড় রেখেছেন ২২.০৪। নিউজিল্যান্ডের স্যার রিচার্ড হ্যাডলি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের কার্টলি অ্যামব্রোসের ক্যারিয়ারে গড় ছিল ২২.১০ এবং ২২.১১। 

নিজের দেশের সাপেক্ষেও গড়ের দিক থেকে সবার ওপরে আছেন বুমরাহ। ভারতের ক্রিকেটে ১০ম সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী তিনি। কিন্তু গড়ের দিক থেকে বুমরাহই সবার ওপরে। দেশটির পেসারদের তালিকায় ৬ষ্ঠ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী এখন তিনি। 

জেএ