টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার পথে ছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু সেই স্বপ্নে বড় ধাক্কাই খেয়েছে দলটি। শ্রীলঙ্কা সফরে এসে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে তাদের। দ্বিতীয় টেস্টে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি কিউইরা। গলে প্রথম ইনিংসে ৮৮ রানে অলআউটের পর রীতিমত লজ্জাজনক ইনিংস ব্যবধানে হারতে হয়েছে তাদের। দলের এমন ব্যর্থতার পর আকস্মিক ঘোষণায় অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন টিম সাউদি।   

২০২২ সালে কেইন উইলিয়ামসনের কাছ থেকে দায়িত্ব নেওয়ার পর নিউজিল্যান্ডকে ১৪ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাউদি। তাঁর নেতৃত্বে ৬টি টেস্টে জিতেছে নিউজিল্যান্ড, হেরেছেও ৬টিতে, ড্র করেছে ২টি। চলতি বছর অবশ্য বল হাতেও খারাপ সময় পার করেছেন সাউদি। শেষ ৮ টেস্টে মাত্র ১২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এবার দলে জায়গা পাওয়া নিয়েও আছে আলোচনা। 

অধিনায়কত্ব ছাড়ার প্রসঙ্গে টিম সাউদি সামনে টেনেছেন সেই ফর্মের কথাও, ‘কোনো সংস্করণে ব্ল্যাক ক্যাপদের নেতৃত্ব দেওয়া আমার জন্য স্পেশাল, সম্মানের ও বড় পাওয়া ছিল। আমি পুরো ক্যারিয়ারে দলের চাহিদাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি, এবং আমি বিশ্বাস করি এই সিদ্ধান্তে দলের ভালোই হবে। আমি বিশ্বাস করি, দলকে আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার উপায় হচ্ছে মাঠে আমার পারফরম্যান্সে মনযোগ দেওয়া, নিজের সেরাটা ফিরে পাওয়া, উইকেট নিতে থাকা এবং নিউজিল্যান্ডকে টেস্ট জেতাতে সাহায্য করা।’

নিউজিল্যান্ডের কোচ গ্যারি স্টিডও অভিজ্ঞ এই পেসারের সিদ্ধান্তে সম্মান জানিয়েছেন, ‘টিম দারুণ একজন খেলোয়াড়। আর সেইসঙ্গে খুব ভালো একজন নেতা যাকে সতীর্থ ও সাপোর্ট স্টাফরা অনেক সম্মান করে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৭ বছর ধরে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রতিনিধিত্ব করছে সাউদি, টেস্ট দলের দায়িত্ব ছাড়ার এই সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান জানাই।’

অবশ্য সাউদি সরে যাওয়ার পর কিউইদের টেস্ট অধিনায়ক খুঁজে পেতে সময় লাগেনি। নতুন অধিনায়কের দায়িত্ব নেবেন টম ল্যাথাম। তার জন্য অধিনায়কত্ব নতুন কিছু নয়। এর আগে ব্ল্যাকক্যাপসদের মোট ৯ টেস্টে অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ভারত সফর থেকেই তাকে দেখা যাবে উইলিয়ামসন-রাচিনদের দায়িত্বে।

অক্টোবরের ১৬ তারিখ থেকে শুরু হবে নিউজিল্যান্ডের ভারত সফরের প্রথম টেস্ট। তিন টেস্টের এই সিরিজের জন্য দল এখনো ঘোষণা করেনি দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স আর অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর সেই দলে টিম সাউদির জায়গা পাওয়া নিয়েও এখন আলোচনা চলছে নতুন করে। 

জেএ