ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষ হলেও, সফর শেষ হয়নি বাংলাদেশের। দুই দল ৭ অক্টোবর থেকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হবে। সেই ফরম্যাটের দলে না থাকা ক্রিকেটাররা ফিরবেন দেশে। কিন্তু সাকিব আল হাসানের পরবর্তী গন্তব্য কোথায় তা নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে গুঞ্জন চলছে। শোনা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে উড়াল দিতে পারেন সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক।

ভারতের বিপক্ষে কানপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে আচমকা টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই তিনি ফরম্যাটটিতে শেষ ম্যাচ খেলেছেন বলে উল্লেখ করেন। আর টেস্ট থেকে বিদায় নিতে চান ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে। তবে সেজন্য তিনি নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ কিছু শর্ত দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত সেই শর্ত পূরণের তেমন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। ফলে কানপুর টেস্টকেই সম্ভাব্য শেষ লাল বলের ম্যাচ মনে করা হচ্ছে সাকিবের।

টেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ায় বাংলাদেশ দলের সাদা পোশাকের ক্রিকেটাররা ৩ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তবে সাকিবের গন্তব্য ভিন্ন। ঢাকা পোস্টকে বিসিবির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন, দলের বহরের সঙ্গে দেশে ফিরছেন না সাকিব। সেক্ষেত্রে টাইগার অলরাউন্ডারের পরবর্তী গন্তব্য কোথায় সে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। জানা গেছে সাকিবের পরবর্তী গন্তব্য আমেরিকা। সেখানে নিজের পরিবারের কাছে যাওয়ার কথা রয়েছে সাকিবের।

এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে সাকিবের থাকা নিয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তাকে সিরিজটিতে পাওয়ার আশায় রয়েছেন, ‘এটাই (কানপুর) সাকিবের শেষ টেস্ট ম্যাচ ‍কি না, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। আমি যতটুকু জানি, সে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজটা খেলছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাকিব তার শেষ টেস্ট খেলার কথা বলায় আমরা অবাক হয়েছি। আর আপনি তো সাকিবের মতো একই বিকল্প খুঁজে পাবেন না।’

আগামী ১৬ অক্টোবর দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে ঢাকায় আসবে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ২১ অক্টোবর থেকে মিরপুরে প্রথম এবং ২৯ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা। এই সিরিজ খেলে বিদায় নেওয়ার লক্ষ্য সাকিবের। সেজন্য দেশে ফিরতে তার নিরাপত্তা এবং নিরাপদে দেশ ছেড়ে পরিবারের কাছে যাওয়ার সুযোগ চেয়েছেন। যদিও নিরাপত্তার বিষয়টি তাদের হাতে নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে বিসিবি।

অন্যদিকে, সাকিবের দাবির প্রেক্ষিতে তাকে পাল্টা শর্ত দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে তাকে যতটুকু নিরাপত্তা দেওয়া দরকার ততটুকু আমরা দেব। তবে রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে জনগণের মধ্যে যদি ক্ষোভ থাকে, তাহলে সেটা আমাকে রিডিউস করতে (কমাতে) হবে আমার কথা দিয়ে। আমার মনে হয়, তার (সাকিব) নিজের জায়গা পরিষ্কার করা প্রয়োজন, রাজনৈতিক জায়গা থেকে, তার যে রাজনৈতিক অবস্থান, তা নিয়ে কথা বলা প্রয়োজন। অলরেডি মাশরাফি বিন মুর্তজা কথা বলেছেন।’

এসএইচ/এএইচএস