১৪৬তম টেস্ট খেলতে কানপুরে নেমেছিল বাংলাদেশ। বৈরি আবহাওয়া আর বাজে আউটফিল্ডের কারণে সেখান থেকে ড্র-য়ের বাইরে ভিন্ন কোনো চিন্তা হয়ত ছিল না টাইগারদের সামনে। চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনের পরেও শেষ হয়েছিল কেবলই বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। এরপর ক্রিকেটীয় দক্ষতায় বাংলাদেশকে একপ্রকার লজ্জার এক হার উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ। 

এই হারের মাধ্যমে টেস্টে ১০৭তম হার দেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। ২০০০ সালে বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর থেকে অর্থাৎ গেলো ২৪ বছরে এরচেয়ে বেশি টেস্ট হেরেছে কেবল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২২২ টেস্ট খেলে ক্যারিবিয়ানরা এসময় হেরেছে ১১৮টি টেস্ট ম্যাচ। ১০০ টেস্ট হারা অন্য দল ইংল্যান্ড। ১০৪ টেস্ট হারতে ইংল্যান্ড অবশ্য খেলেছে ৩১১টি টেস্ট। 

জয়ের শতাংশ হিসেব করলে বাংলাদেশের টেস্ট জয়ের হার মাত্র ১৪ দশমিক ৩৮। ক্যারিবিয়ানরা বিপরীতে জিতেছে ২২ শতাংশ টেস্ট আর ইংল্যান্ডের জয়ের হার ৪৪ দশমিক ৬৯। 

গেল ২৪ বছরে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে বাংলাদেশের চেয়ে বাজে ফলাফলের নজির আছে কেবল জিম্বাবুয়ের। ২০০০ সালের পর থেকে রোডেশিয়ানরা খেলেছে ৭৮ টেস্ট। যেখানে তারা জয় পেয়েছে ১০ ম্যাচে। হেরেছে ৫৬ ম্যাচে। আর ড্র করেছে ১২ ম্যাচ। জয়ের শতাংশ ১২ দশমিক ৮০।

অবশ্য প্রসঙ্গ যদি হয় ম্যাচ হারের ক্ষেত্রে। তবে জিম্বাবুয়েকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়ে দেবে বাংলাদেশ। ১৪৬ ম্যাচে ১০৭তম হারের পর বাংলাদেশের হারের শতকরা হিসেব ৭৩ দশমিক ২৯। যা বাকি যেকোনো দেশের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এসময়ে জিম্বাবুয়ে হেরেছে ৭১ দশমিক ৭৯ শতাংশ টেস্টে। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরিসংখ্যান বলছে, এই ২৪ বছরে তাদের টেস্ট হারের শতকরা হিসেব মোটে ৫৩ দশমিক ১৫। 

কমপক্ষে ১০০ টেস্ট খেলেছে এমন দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জয় অস্ট্রেলিয়ার। শেষ ২৪ বছরে তারা খেলেছে ২৬৪ টেস্ট। এরমাঝে জয় এসেছে ১৫৮ টেস্টে, হেরেছে ৬৪ টেস্টে। হার ৪২ টেস্টে। হারের সংখ্যা এবং শতকরা জয়ের হিসেবেও সবার চেয়ে এগিয়ে অজিরাই। জিতেছে ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ ম্যাচ।

এসময় আর কোনো দেশই ৫০ শতাংশের বেশি ম্যাচ জিততে পারেনি। দুইয়ে আছে ২২৬ টেস্ট খেলা দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১১ জয় নিয়ে তাদের টেস্ট জয়ের শতকরা হার ৪৯ দশমিক ১০। আর ভারত ২৫১ টেস্ট থেকে জিতেছে ৪৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ টেস্ট। জয় এসেছে ১১৯টি ম্যাচে। 

জেএ