ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জেতার পরপরই সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেছিলেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিরা। বিশ্বকাপ ট্রফির উৎসবের মধ্যেই তারকা ক্রিকেটারদের এমন সিদ্ধান্ত অনেকটা ধাক্কার মতো ছিল দেশটির সমর্থকদের মধ্যে। কেন বিশ্বজয়ের পরেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তিন মাস পর ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজে মাঝে এসে খোলাসা করলেন রোহিত শর্মা।

রোহিত মনে করেন, এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার মতো যথেষ্ট ফিট তিনি। লাল বলের হোক বা সাদা বলের ক্রিকেট— আরও কয়েক বছর অনায়াসে খেলতে পারবেন বলেই বিশ্বাস তার। তাহলে কেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের কথা বলেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজেই!

রোহিত বলেন, ‘মনে হয়েছিল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমার সময় শেষ। ক্রিকেটের এই সংস্করণটা দারুণ উপভোগ করেছি। ১৭ বছর ধরে খেলছি। ভালোই খেলেছি বলে মনে হয়। আর কিছু নয়।’ রোহিত আরও বলেন, ‘এবারের (২০২৪) বিশ্বকাপ জেতার পর মনে হলো, অবসর ঘোষণার এটাই সেরা সময়। ঠিকই আছে। এবার আমি অন্য রকম কিছু ভাবতেই পারি। আমাদের অনেক ক্রিকেটার আছে। তরুণরাও দেশের জন্য ভালো খেলবে।’

আপনার ওপর কি কোনো চাপ ছিল? জবাবে রোহিত বলেন, ‘একদমই না। আমার তেমন কিছু মনেও হয়নি। শুধু মনে হয়েছিল, টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার সেরা সময় এটাই। আর কিছুদিন অনায়াসে তিন ধরনের ক্রিকেট খেলতে পারতাম। ফিটনেস বা মানসিকতা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।’ 

রোহিত বলেন, ‘বিশ্বাস করি, মন যেটা চায় সেটাই করা উচিত। আমি একজন খুব আত্মবিশ্বাসী মানুষ। আমি আমার মনকে প্রয়োজন মতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। যদিও ব্যাপারটা একদমই সহজ নয়। তবু বেশিরভাগ সময় করতে পারি বলেই মনে হয়। আপনি যদি মনে করেন, এখনও তরুণ আছেন, তাহলে অনেক কিছুই করতে পারবেন। অবশ্যই করতে পারবেন। ভাবনাটাই আসল।’ উল্লেখ্য, গত ২৯ জুন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলে ২০ ওভারের ক্রিকেট থেকে রোহিত, কোহলির সঙ্গে অবসর নেন রবীন্দ্র জাদেজাও।

ভারতের হয়ে ১৫৯টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন রোহিত। ৩১.৩৪ গড়ে করেছেন ৪২৩১ রান। পাঁচটি শতরানের পাশাপাশি তার ঝুলিতে রয়েছে ৩২টি অর্ধশতরান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও ভারতের হয়ে টেস্ট এবং ওয়ানডে ক্রিকেট খেলছেন রোহিত। দিচ্ছেন নেতৃত্বও।

এফআই