উত্তর প্রদেশেই ভারতের জাতীয় দলের সঙ্গে আছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার সরফরাজ খান। সেখানেই যাচ্ছিলেন ছোটভাই মুশির খান এবং বাবা নওশাদ খান। তাদের গন্তব্য ছিল লখনৌ শহরে। ইরানি কাপের ম্যাচে মুম্বাই দলের অংশ সরফরাজ ও মুশির দুজনেই। লখনৌ শহরেই বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে যোগ দেয়ার কথা ছিল সরফরাজের। 

তবে পথিমধ্যে গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন সরফরাজ খানের ছোটভাই মুশির ও বাবা নওশাদ খান। ভারতের গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া তাদের এই দুর্ঘটনার কথা নিশ্চিত করেছে। ভারত গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, মুশির খান ও নওশাদ খানকে বহনকারী গাড়িটি রাস্তায় চার থেকে পাঁচবার ডিগবাজি দেয়। 

দুর্ঘটনার ফলে মুশির খান ঘাড়ে আঘাত পেয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা। অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে শুরু হওয়া ইরানি কাপ তো বটেই, আসন্ন রঞ্জি ট্রফিও মুশির খান মিস করবেন বলে উল্লেখ করেছে ভারতের গণমাধ্যমগুলো। যদিও দুর্ঘটনার পর সরফরাজ ও মুশিরের বাবা নওশাদ ঠিক কেমন আছেন তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। 

ইরানি কাপ খেলার জন্য মুম্বাই দল এরইমাঝে লখনৌ পৌঁছে গেলেও বাবাকে নিয়ে আলাদাভাবেই সেখানে রওনা দিয়েছিলেন মুশির খান। ধারণা করা হচ্ছে, বাবাকে নিয়ে আজমগড় থেকে আলাদা গাড়িতে রওনা করেন ভেন্যুর উদ্দেশে। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, দুর্ঘটনার ফলে ঘাড়ে ফ্র্যাকচারের শিকার হয়েছেন মুশির। গণমাধ্যমের ভাষ্য, অন্তত তিন মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে উদীয়মান এই তারকাকে। 

সরফরাজ খানের মতো ভারতীয় নির্বাচক আর গণমাধ্যমের আলো কেড়েছেন মুশির খানও। বড়ভাইয়ের মতো উইকেটরক্ষক নন তিনি। মুশিরের হাতে বোলিংটাও নিয়মিত। চলতি বছর অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপে করেছেন দুটি সেঞ্চুরি। এরপর রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন, সেমিফাইনালে ফিফটির পর ফাইনালে আবার করেছেন সেঞ্চুরি। দিলীপ ট্রফিতে কদিন আগেই খেলেছেন ১৮১ রানের আরেকটি দুর্দান্ত ইনিংস। 

১৯ বছর বয়সের মুশির খানকে ভারতের আগামীদিনের তারকা হিসেবেই গন্য করা হয়। চলতি বছর প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৫১ এর বেশি গড়ে মাত্র ১৫ ইনিংসে তুলেছেন ৭১৬ রান। রঞ্জি ট্রফি জেতার ক্ষেত্রে মুম্বাই দলে ছিল তার কার্যকরী ভূমিকা। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে আছে ১ হাফ সেঞ্চুরি ও ৩ সেঞ্চুরি। ডাক পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায় ভারত ‘এ’দলের সফরে। ক্যারিয়ারের শুরুতেই তার এমন দুর্ঘটনাকে ক্রিকেটের জন্য বড় ধাক্কা মানছেন সবাই। 

জেএ