চেন্নাই টেস্টের আগে বহুল চর্চিত বিষয় ছিল এম চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামের পিচ। মুম্বাই থেকে আনা লাল মাটির পিচ হবে না কি নিজস্ব কালো মাটির পিচেই খেলা হবে তা নিয়ে ছিল একাধিক প্রশ্ন। শেষ পর্যন্ত খেলা হয়েছিল লাল মাটির পিচে। পেসারদের জন্য কিছুটা সুবিধা করে দিতেই এই সিদ্ধান্ত। সেটার সুফলও পেয়েছে ভারত। 

বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানে আটকে রেখেছিল ভারত। সঙ্গে বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণকেও একেবারে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় লাল মাটির সেই পিচে। পরের টেস্ট কানপুরে। সেখানে এখন চলছে পিচ তৈরির শেষ মুহূর্তের কাজ। 

শোনা যাচ্ছে কানপুরে বাংলাদেশকে ভারত আটকাতে চায় নিজেদের চিরচেনা কালো মাটিতেই। যেখানে পেসারদের তুলনায় স্পিনাররাই ব্যাটারদের ওপর রাজত্ব করবেন। গ্রিন পার্কের এই পিচটিতে চেন্নাইয়ের লাল মাটির বদলে কালো মাটি থাকবে। বাউন্স বেশি হবে না এবং বল বেশি ক্যারি করবে না।\

এটা প্রত্যাশিত যে গ্রীন পার্কের পিচ চেন্নাইয়ের পৃষ্ঠের তুলনায় কিছুটা ফ্ল্যাট হবে এবং টেস্টের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বাউন্সও কমবে। চেন্নাইয়ের লাল মাটির পিচে নিয়মিত বাউন্স ছিল এবং সেজন্য উভয় দলই তিনজন ফাস্ট বোলার এবং দুইজন স্পিনার নিয়ে মাঠে নেমেছিল। পিচে তেমন টার্ন না থাকলেও স্পিনারদের জন্য যথেষ্ট বাউন্স ছিল। রবীন্দ্র জাদেজা এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন শুরুতে সুবিধা না পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে দুজন মিলে নিয়েছেন ৯ উইকেট। 

ভারত ২০২১ সালে শেষবার কানপুরে টেস্ট আয়োজন করে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই টেস্টে ভারতীয় দল অশ্বিন, জাদেজা এবং অক্ষরের স্পিন ত্রয়ী নিয়ে মাঠে নেমেছিল। তার আগে, ২০১৬ সালের পর প্রথমবারের মতো এই ভেন্যুতে টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৬ সালে টিম ইন্ডিয়া সহজ জয় পেলেও ২০২১ সালে, নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা ম্যাচ ড্র করেছিল।

কানপুরের পিচ মন্থর হওয়ার সম্ভাবনা বিবেচনা করে, উভয় দলই তাদের কৌশল এবং নির্বাচন পরিবর্তন করতে পারে। দুই দলেই একজন অতিরিক্ত স্পিনার তৃতীয় ফাস্ট বোলারের জায়গায় নিতে পারে। আগেই ধারণা করা হয়েছিল এই ম্যাচে কুলদীপ যাদব বা অক্ষর প্যাটেল ভারতীয় দলে জায়গা করে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে বুমরাহর বিশ্রামে থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। 

জেএ