টপ অর্ডারে ভঙ্গুর দশা, কী বলছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক
টপ অর্ডারে চার বাঁহাতি ব্যাটার। জাতীয় দলে ব্যর্থতার প্রশ্নে অনেকেই আঙুল তুলেছেন সেদিকেই। যদি এটাকে খুব বড় সমস্যা মানছেন না ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প। কিন্তু বাংলাদেশের টপ অর্ডার রান পাচ্ছে না সেটা সত্য। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও সাদমানের ৯৩ রানের ইনিংসের বাইরে ভাল কিছু দেখা যায়নি।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত চেন্নাই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮২ রান করেছেন। সেটাই যেন সম্বল বাংলাদেশের জন্য। ২৮০ রানে ম্যাচ হারার পর টাইগার অধিনায়কের মুখেও সেই টপ অর্ডার নিয়ে হতাশার কথা, ‘প্রথম ইনিংসে আমরা ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। ম্যাচের ওই সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। টপ অর্ডারে যদি অন্তত একটা জুটি করতে পারতাম তাহলে আমরা আরও ভালো অবস্থায় থাকতে পারতাম।’
বিজ্ঞাপন
অধিনায়ক শান্ত বিশ্বাস করেন, চেন্নাই থেকে টপঅর্ডারের শিক্ষাই বেশি নেয়া উচিৎ, ‘এই ম্যাচ থেকে যদি শেখার কথা বলেন তাহলে আমার মনে হয় টপ অর্ডারদের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে প্রথম ইনিংসে আরও বেশি সাবধানী হওয়া উচিত ছিল। আমাদের আরও বেশি রান করা প্রয়োজন ছিল। সব ব্যাটাররা মনে করে তারা কামব্যাক করতে পারবে।’
আরও পড়ুন
দ্বিতীয় ইনিংসে জাকির ও সাদমানের উদ্বোধনী জুটি নিয়ে শান্তর ভাষ্য, ‘উইকেটে সময় কাটানোটা গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু আমরা যতটা কাটিয়েছিলাম সেটা যথেষ্ট ছিল না। কিন্তু এখনও দ্বিতীয় টেস্টে এটা সহায়তা করবে। ৬২ রানের জুটি গড়াটা ওপেনারদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এটা এমন একটা জিনিস যা সামনের টেস্টে নজর রাখতে পারে।’
এসজি বলে খেলায় কোনো সমস্যা কিনা এমন প্রশ্নও উঠেছে। সারাবিশ্বের অনেকেই খাবি খেয়েছেন ভারতের এই এসজি বলের কাছে। এই প্রশ্নের জবাবে শান্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় না বল বড় কোন সমস্যা ছিল। এটা তো একটা বলই। কোকাবুরা এবং এসজি বলের মাঝে অবশ্যই একটা পার্থক্য আছে। কিন্তু খেলোয়াড়রা সেটার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে। আমরা এটা বলতে পারি না যে বলের কারণে আমরা খারাপ খেলেছি।’
এসএইচ/জেএ