প্রশ্নটা উঠেই গেল। ভারতের বিপক্ষে রেকর্ড ব্যবধানে হারের পর চেন্নাইয়ে টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রত্যাশিতভাবেই এসেছে সাকিব আল হাসান প্রসঙ্গ। এদিন প্রশ্ন উঠল, বিবর্ণ সাকিবকে আর কত টানবে দল! কৌশলী জবাবে এড়িয়ে গেলেন শান্ত। 

চোখের সমস্যার কারণে এখন আর ব্যাটিংটা ঠিকঠাক করতে পারছেন না সাকিব। বোলিংয়েও সেই ধার দেখা গেল না ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে। চেন্নাইয়ে দুই ইনিংস মিলিয়ে পাননি কোনো উইকেট। এমনকি প্রথম ইনিংসে বল করতে এসেছিলেন ৫৩তম ওভারে এসে। সমর্থকদের পাশাপাশি কমেন্ট্রিবক্সেও গত কয়েক দিনে সমালোচনা হয়েছে সাকিবকে নিয়ে।

সাকিবকে একাদশ থেকে বাদ দেওয়ার প্রশ্নে টাইগার কাপ্তান শান্ত নিজেকে সামলে নিয়ে পরমুহূর্তেই হেসে বললেন, ‘খুব সাহসী প্রশ্ন! মাশাআল্লাহ্!’এরপর টাইগার অলরাউন্ডারের মাঠের বাইরের পারফরম্যান্স পাশ কাটিয়ে গেলেন কৌশলে, ‘অধিনায়ক হিসেবে আমি যেটা দেখি, শুধু সাকিব ভাই বলে বলছি না, আমি দেখি যে কে কতটুকু কষ্ট করছে এবং কামব্যাক করার জন্য যা যা দরকার, সে কাজগুলো করছে কি না, দলের প্রতি ইন্টেনশনটা কী রকম। এই জিনিসগুলো আমি খেয়াল রাখি। আমি চেষ্টা করি, ওই ক্রিকেটার দলকে দেওয়ার জন্য কতটুকু প্রস্তুত, শতভাগ কি না।’

শুধু সাকিবের প্রসঙ্গে বললেও তা যে পুরো দলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, সেটাও উল্লেখ করলেন শান্ত, ‘অনেকে ভাবতে পারে, সাকিব ভাই দেখে আমি বলছি। তবে এ রকম না। নাহিদ রানা থেকে শুরু করে মুশফিক ভাই, সবার জন্যই আমি একই জিনিস দেখার চেষ্টা করি। এমন নয় যে রান করছে বা রান করছে না। এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমার মনে হয়, তার প্রস্তুতি কেমন, দলের প্রতি তার চিন্তাভাবনা কেমন, দলকে ভালো কিছু দেওয়ার জন্য ওই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছে কি না। এই জিনিসগুলো দেখে আমি খুশি, দলে যে ১৫-১৬ জন ক্রিকেটার আছে, তাদের নিয়ে আমি খুশি।’

চেন্নাই টেস্ট চলাকালেই জানা যায় আঙুলে চোট রয়েছে সাকিবের। ধারাভাষ্যকার এবং ভারতের সাবেক স্পিনার মুরালি কার্তিক জানান সাকিবের ইনজুরির খবর। এবার টাইগার অলরাউন্ডারের আঙুলের চোট নিয়ে কথা বললেন শান্ত। 

তিনি বলেন, ‘আঙুলের যে ব্যাপারটা এটা আসলে ব্যাট করার সময় গ্লাভসে একটা বল লাগে যেটা হয়ত আপনারা দেখেছেন। যে কারণে ট্যাপটা পেঁচানো। আমি আসলে কখনও কোনো প্লেয়ারের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না। কারণ খেলাটা একটা টিম গেম। পুরা দলের অবদানে কিন্তু একটা ম্যাচ জেতা সম্ভব। সবাই দল হিসেবে যদি আমরা অবদান রাখতে পারতাম হয়ত আরও ভালো কিছু হতে পারত। ফলে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে আমি খুব একটা চিন্তিত নই।’

প্রথম ইনিংসে কেন দেরিতে বল করেন সাকিব সে ব্যাখা দিয়ে শান্ত বলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের বোলিংয়ের ব্যাপারে যা বললেন, প্রথম ইনিংসে ৩ পেসার খুবই দারুণ বোলিং করেছে। আমার প্রয়োজনই পড়েনি তাকে বোলিংয়ে আনার। এক পাশ থেকে মিরাজ ভালো বল করছিল। এটা একটা পরিকল্পনাই ছিল যত বেশি আমরা পেসারদের বল করাতে পারি। শুরুর ৬টা উইকেটও আমরা খুব তাড়াতাড়িই নিলাম। তো এইটাই প্ল্যান ছিল।'

এফআই