টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালে অনুশীলনে সাকিব আল হাসানের ব্যতিক্রমী রূপ দেখা গিয়েছিল। বড় গলাবন্ধনী পরে তিনি ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন ম্যাচের আগে। পরে জানা গিয়েছিল মাথার পজিশন ঠিক রাখতেই এই কৌশল সাবেক টাইগার অধিনায়কের। ভারতের বিপক্ষে চলমান টেস্টেও তেমনই এক কৌশলে হাঁটতে দেখা যাচ্ছে সাকিবকে। যা নিয়ে বেশ আলোচনাও হচ্ছে।

ভারতের বিপক্ষে চেন্নাইয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করার সময় প্রথম সাকিবের এমন কাণ্ড নজরে আসে। অনবরত হেলমেটের স্ট্র্যাপ কামড়াতে দেখা গেছে তাকে। তেমনি দ্বিতীয় ইনিংসেও একই কাজ করেছেন সাকিব। যা নিয়ে প্রথম ইনিংস চলার সময়ই জানতে চাওয়া হয় ধারাভাষ্য বক্সে থাকা বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ইকবালের কাছে।

ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় দীনেশ কার্তিক এবং তামিম সেই প্রশ্নের উত্তর দেন। কার্তিক জানান, শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতেই এমন কাজ করছেন সাকিব। ব্যাট করার সময় মাথা লেগ সাইডের দিকে ঝুঁকে থাকায় বল দেখতে তার অসুবিধা হতে পারে। সেটি এড়ানোর জন্যই তিনি এ কাজ করছেন বলে জানান কার্তিক। একই মত তামিমেরও। সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক বলেন, ব্যাট করার সময় সাকিবের মাথা একদিকে হেলে থাকত। তা ঠেকানোর জন্যই সাকিব স্ট্র্যাপ কামড়ে ধরে রেখেছেন।

চোখের সমস্যার কারণে সাকিবের এমন কৌশল ব্যবহারের ব্যাখ্যা দেওয়া হলেও, এ নিয়ে কখনও কথা বলেননি তিনি। ভারতে অনুষ্ঠিত সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় সমস্যা ধরা পড়ে তার চোখে। এরপর সাকিব ভারত ও লন্ডনে চোখের সেই সমস্যার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখিয়েছেন। সে সময় বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন, অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকলে সাকিবের চোখের রেটিনার নিচে একধরনের তরল পদার্থ জমে, যেটা ঝাপসা করে দেয় দৃষ্টি। এ নিয়ে তিনি চিকিৎসাও নিচ্ছেন লম্বা সময় ধরে।

এদিকে, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে বেশ ব্যাকফুটে অবস্থান টাইগারদের। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতায় তারা গুটিয়ে যায় মাত্র ১৪৯ রানে। দলের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩২ রান আসে সাকিবের ব্যাটে, এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি করেছেন ২৫ রান। এই ম্যাচের তৃতীয় দিন তিনি একটি রেকর্ডও গড়েছেন। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি বয়সী (৩৭ বছর ১৮০ দিন) হিসেবে টেস্ট খেলছেন সাকিব। যদিও বল হাতে প্রথম টেস্টে তিনি ব্যর্থ, উইকেটশূন্য থাকার পাশাপাশি রান দিয়েছেন হাত খুলে।

হেলমেটের স্ট্র্যাপ মুখে নেওয়ার প্রসঙ্গে নেটিজেনদেরও আগ্রহের কেন্দ্রে আছেন সাকিব। অনেকেরই জিজ্ঞাসা এটি বাংলাদেশি ব্যাটারের কোনো কুসংস্কার নাকি কৌশল। নানাভাবে বিষয়টির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তারা। 

এএইচএস