২৪ বছরের টেস্ট ক্রিকেটে মোটে ৮১ টেস্ট সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে বড় ইনিংস খেলতে না পারার ব্যর্থতাটা সাময়িক নয়, সেটা যেমন সত্য। তেমনি দুই যুগ পেরিয়েও বাংলাদেশের ব্যাটাররা সাদা পোশাকে খুব একটা সফল না, সেটাও মেনে নিতেই হয়। ভাল শুরুর পরেও টাইগার ব্যাটারদের এমন ব্যর্থতাটা নিয়ে চিন্তায় আছেন ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্পও। 

চেন্নাই টেস্টে ৫১৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে নেহাত মন্দ ছিল না বাংলাদেশের শুরুটা। ৬২ রানের পার্টনারশিপ করেছিলেন জাকির হোসেন এবং সাদমান ইসলাম। কিন্তু সেসব থেকে বড় কিছু হয়নি। এমনকি পঞ্চাশের ঘরেও যাওয়া হয়নি দুই ওপেনারের। সেখান থেকে পথ হারিয়ে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দিনশেষ করেছে ১৫৮ রানে। 

এমন এক পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত ব্যাটিং কোচ হেম্পও, ‘আমরা কথা বলব এটা নিয়ে। ভালো শুরু পেয়ে গেলে, ২০-৩০ বল খেলে ফেললে আসলে আপনি বুঝে যাবেন কী হচ্ছে না হচ্ছে। ৩০-৪০ রান করেই হয়ত অনেকে আউট হয়ে যাচ্ছে। আমি নিশ্চিত এই ব্যাপারে আমাদের আবারও কথা হবে।’ 

কোচের বিশ্বাস, এখান থেকেও ভাল কিছু করা সম্ভব বাংলাদেশের জন্য। তবে সেজন্য অনুশীলন করে যাওয়ার প্রত্যয় শোনা গেল তার কণ্ঠে ‘যেহেতু শুরুর দিকের পরিশ্রমটা তারা করেই ফেলছে ফলে আরও বড় ইনিংস খেলতে পারতে হবে তাদের। আমরা মাঝেমধ্যে এটি করে দেখিয়েছি যদিও। তবে কথা বলে যাব এটা নিয়ে, কাজও করে যাব অনুশীলনে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে ব্যাটিংয়ে আমাদের অ্যাপ্রোচটা ঠিকঠাক যেন থাকে, যা আসলে অনেক ক্ষেত্রেই হয়ে উঠছে না। অনেক সময় ৪০-৫০-৬০ বল খেলে ২০-৩০ রান করে আমরা আউট হয়ে যাচ্ছি।’ 

হেম্প বিশ্বাস করেন সুযোগ কাজে লাগানোই বড় দলগুলোর বিপক্ষে ভাল খেলার মূল মন্ত্র, ‘আমরা বুঝতে পারছি তারা দারুণ বোলার, ভালো বোলার। তবে আমাদেরও দেখতে হবে কী কী সুযোগ থাকছে আমাদের, নিজেদের শক্তির জায়গাগুলো কোথায়। উদাহরণ হিসেবে বলব, রান করার দিকে মনোযোগ দিতে চেয়েছি আমরা, যখনই সুযোগ এসেছে। কারণ যারা বল করছে তারাও তো মানুষ। সবসময় তো ভালো করবে না। যদি রান না করতে পারেন তাহলে আপনি রান করার সুযোগ পেয়েও তা হারিয়ে ফেললেন (এটি হতে দেওয়া যাবে না)। এরকম মাইন্ডসেটই ছিল আমাদের। ছেলেরা চেষ্টা করেছে এগুলো প্রয়োগ করার। উঁচু র‍্যাংকের দল ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মত দলের সাথেও এসব ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে। নাহলে বিপদে পড়তে হবে।’ 

জেএ