চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে শুরুতে বাংলাদেশি বোলাররা দাপট দেখালেও, সেই পরিস্থিতি নেই বর্তমানে। মূলত রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার ১৯৯ রানের রেকর্ডগড়া জুটিই সেই নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেয়। নাজমুল হোসেন শান্তদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেই দাপট আর ফিরে পাওয়া হয়নি সফরকারীদের। দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের ১০ উইকেটসহ গোটা দিনে পড়েছে ১৭ উইকেট। আর তাতেই ৪৫ বছর আগের এক রেকর্ড ভেঙেছে।

আজ (শুক্রবার) প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন ৬ উইকেটে ৩৩৯ রান হাতে নিয়ে খেলতে নেমেছিল স্বাগতিক ভারত। এরপর পাঁচ রান যোগ হতেই ৮৬ রান করা জাদেজাকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। এরপর আকাশ দ্বীপ, আগেরদিন সেঞ্চুরি পূর্ণ করা অশ্বিন ও জাসপ্রিত বুমরাহ’র বিদায়ে ভারতের প্রথম ইনিংস ৩৭৬ রানে থামে। পরে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রান তুলতেই অলআউট হয়ে যায়।

শেষ বিকেলে ফলো-অনে পড়া বাংলাদেশই আবার দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামার কথা ছিল। তবে তাদের না পাঠিয়ে ২২৭ রানের লিড নেওয়া পুনরায় ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। দ্বিতীয় দিন শেষ হওয়ার আগে তারা দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ৮১ রান। সবমিলিয়ে তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩০৮ রানের। বাংলাদেশ যে বড় বিপাকে আছে সেটি বোঝাই যায়। তবে দুই দল মিলে একদিনে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছে চেন্নাইয়ে।

ভারতের দুই ইনিংসে ৭ আর বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ১০ উইকেট মিলিয়ে আজ পুরো দিনে পড়েছে ১৭ উইকেট। এর আগে চেন্নাইয়ে টেস্ট ইতিহাসের একদিনে সর্বোচ্চ ১৫ উইকেট পড়তে দেখা গেছে তিনবার। যার প্রথমটি ঘটেছিল ১৯৭৯ সালে, ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই টেস্টে তৃতীয় দিন ১৫ উইকেট পড়েছিল। ৪৫ বছর আগের সেই রেকর্ড অক্ষুণ্ন ছিল আজকের আগপর্যন্ত। যদিও এরপর ২০২১ সালে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজে দুই বার এই ভেন্যুতে একদিনে ১৫ উইকেট পড়তে দেখা গিয়েছিল।

এ ছাড়া আজ আরও একটি রেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশ-ভারতের বোলাররা। চিপকে ১৭ উইকেটের মধ্যে দুই দলের পেসাররাই নিয়েছেন ১৪ উইকেট। একদিনে পেসারদের এত উইকেট পড়ার সর্বশেষ নজির দেখা গিয়েছিল ২০০৬ সালে। পুরো দিনে ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে দুটি নজির গড়লেন বাংলাদেশ-ভারত উভয় দলের বোলাররা। যেখানে বড় কৃতিত্ব রয়েছে পেসারদের।

এএইচএস