৬ উইকেটে ৩৩৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল ভারত। সেখান থেকে আজকের দিনে আর ৩৭ রান যোগ করতেই শেষের চার উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা। যেখানে একাই ৩ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। বাকি একটি উইকেট পেয়েছেন হাসান মাহমুদ। তাতে ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করার কীর্তি গড়লেন এই ডানহাতি পেসার।

নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৯১ ওভার ২ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৭৬ রান সংগ্রহ করেছে ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৩ রান করেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাছাড়া ৮৬ রান এসেছে রবীন্দ্র জাদেজার ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের হয়ে ৮৩ রানে ৫ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার হাসান। তাছাড়া ৫৫ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট পেয়েছেন তাসকিন।

দ্বিতীয় দিনে মাত্র ৪ রান যোগ করতেই জাদেজাকে হারায় ভারত। ইনিংসের ৮৩তম ওভারের প্রথম বলটি খাটো লেংথে করেছিলেন তাসকিন, সেখানে জাদেজার ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল জমা পড়ে উইকেটকিপার লিটন দাসের গ্লাভসে। ৮৬ রান করে জাদেজা ফেরায় ভাঙে ১৯৯ রানের সপ্তম উইকেট জুটি।

নিজের পরের ওভারে ফিরে আবারও উইকেটের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তাসকিন। ইনিংসের ৮৫তম ওভারের পঞ্চম বলটি খানিকটা খাটো লেংথে করেছিলেন এই পেসার। সেখানে পুল করতে গিয়ে ভুল করেছিলেন আকাশ দীপ।

টাইমিং না হওয়ায় বল উপরে উঠে যায়, কিন্তু দূরত্ব পাননি। স্কয়ার লেগে দাঁড়িয়ে থাকা সাকিব আল হাসান খানিকটা পিছিয়ে বলের নাগালও পেয়েছিলেন তবে হাতে জমাতে পারেননি। তাতে ব্যক্তিগত ৮ রানে জীবন পান আকাশ। তবে তাকে বেশি দূর এগোতে দেননি তাসকিন। এই ডানহাতি পেসারের করা ৮৯তম ওভারের পঞ্চম বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বল আকাশে তোলেন আকাশ। শান্তর হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১৭ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।

দিনের তৃতীয় উইকেটও গেছে তাসকিনের ঝুলিতে। ইনিংসের ৯১তম ওভারের পঞ্চম বলটি অফ স্টমাপের অনেকটা বাইরে করেছিলেন তাসকিন। সেখানে জায়গায় দাঁড়িয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে ধরা পড়েন অশ্বিন। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১১৩ রান।

ইনিংসের শেষ উইকেট নিয়ে নিজের ফাইফার পূরণ করেছেন হাসান। ৯২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে হাসানের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে তৃতীয় স্লিপে ধরা পড়েন বুমরাহ। এই উইকেটের মাধ্যমে ব্যাক টু ব্যাক ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেন হাসান। রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন হাসান। এরপর চেন্নাইয়ে ভারতের প্রথম ইনিংসে ৮৩ রানে নিলেন ৫ উইকেট। ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম পেসার হিসেবে ৫ উইকেট পেলেন হাসান।

এইচজেএস