একই দিনে দুই দলেরই সাফল্য ও ব্যর্থতার গল্প লেখা হলো চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে। দলীয় দেড়শোর আগেই ৬ উইকেট তুলে নিয়ে স্বাগতিক ভারতকে কোণঠাসা করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। অথচ দিনের শেষ সেশনে সেই বাংলাদেশকেই কোথাও খুঁজে পাওয়া গেল না। ভারতও ফায়দা তুলেছে কড়ায় গণ্ডায়। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে নিজের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

প্রথমদিন শেষে এই স্পিন অলরাউন্ডার অপরাজিত আছেন ১১২ বলে ১০২ রানে, এ ছাড়া রবীন্দ্র জাদেজা টিকে আছেন ১১৭ বলে ৮৬ রানে। ১৪৪ রানেই ৬ উইকেট হারানো ভারত আর কোনো বিপদ ছাড়াই দিন শেষ হওয়ার আগে ৩৩৯ রান সংগ্রহ করেছে। অর্থাৎ দিনের শুরুতে দাপট দেখানো টাইগারদের আনন্দ বিষাদে ঢেকে স্বস্তি ফিরেছে স্বাগতিক শিবিরে।

বিপর্যয়ে পড়া ভারতকে টেনে তোলার ক্ষেত্রে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন অশ্বিন। যা নিয়ে দিন শেষে বলেন, ‘আমি মাত্রই টিএনপিএল (ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট) খেলে এসেছি, এটা আমাকে অনেকটা সহায়তা করেছে। টুর্নামেন্ট চলাকালীন ব্যাটিং নিয়ে আমি কিছুটা কাজ করেছি। অবশ্যই, আমি অফ স্টাম্পের বাইরের বাতাস কাজে লাগিয়ে খেলতে পছন্দ করি। বেশ কিছু জায়গায় কাজ করেছি এবং উইকেটে একটু সুবিধাও আছে।’

চেন্নাইয়ের লাল মাটির উইকেটে রান তোলার উপায়ও জানিয়েছেন অশ্বিন, ‘এটা অনেকটা চেন্নাইয়ের প্রথাগত উইকেটের মতো। যেখানে একটু বাউন্স আছে এবং এটি ক্যারিও করে। আপনি যদি লাইনে থাকেন তাহলে লাল মাটির উইকেট আপনাকে শটস খেলার সুযোগ দেবে। বল যখন একটু বাইরে থাকে তখন জোরে মারতে সহজ হয়।’

জাদেজার সঙ্গে ১৯৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি নিয়ে এই অভিজ্ঞ তারকা বলেন, ‘সে (জাদেজা) সবচেয়ে বেশি সহায়তা করেছে। একটা সময় আমি প্রচুর ঘামছিলাম এবং ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলাম। জাদ্দু এটা দ্রুত খেয়াল করে এবং সেই সময়টা পেরিয়ে যেতে আমাকে গাইড করে। সবশেষ কয়েক বছরে আমাদের দলে জাদ্দু অন্যতম সেরা ব্যাটারদের একজন। পরিকল্পনা ছিল আমরা দুই রানকে তিনে কনভার্ট করতে যাবো না। এটা বলেও আমাকে সহায়তা করছিল।’

এসএইচ/এএইচএস