আর দুই দিনের অপেক্ষা। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে চেন্নাইয়ে শুরু হবে ভারত-বাংলাদেশের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। চেন্নাইয়ের তীব্র গরমের মধ্যে আসন্ন সিরিজটিও উত্তাপ ছড়াচ্ছে। সদ্য পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে আসা বাংলাদেশকে সমীহ করছেন ভারতের সাবেকদের কেউ কেউ। দেশ ছাড়ার আগে জয়ের আশাবাদই ব্যক্ত করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এবার রীতিমতো পাল্টা হুমকি দিয়ে রাখলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। 

পাকিস্তানের মাটিতে তাদের হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। বিষয়টি নিয়ে কদিন আগে রোহিতদের একপ্রকার সতর্কই করে দিয়েছিলেন সুনীল গাভাস্কার। যদিও ভারত কাপ্তান সেসব নিয়ে ভাবতে নারাজ।

আজ (মঙ্গলবার) সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সব দল চায় ভারতকে হারাতে। আমাদের হারিয়ে আনন্দ পেতে চায়। তাদের (বাংলাদেশ) মজা নিতে দিন। অনেক ধরনের দলের বিপক্ষে খেলেছি। আমরা শুধু নিজেদের খেলা নিয়েই ভাবব। ইংল্যান্ড এখানে (ভারত) খেলতে এসে সাংবাদিক সম্মেলনে অনেক কথা বলেছিল। সেই সময়ও আমরা আমাদের কাজটা করেছি। কোন দলের বিপক্ষে খেলছি ভাবি না। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই।’ 

রোহিতের সংযোজন, ‘বাংলাদেশ আমাদের কাছে কোনো অনুশীলন সিরিজ নয়। সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। সে যেখানেই খেলি। আমরা জিততে চাই। এই টেস্ট এবং সিরিজ আমরা জিততে চাই। খুব বেশি দূরের দিকে তাকাচ্ছি না। সকলকে দলে ফিরে পেয়ে ভালো লাগছে।’

গত শ্রীলঙ্কা সফর থেকে ভারতীয় দলের কোচের দায়িত্বে গৌতম গম্ভীর। তার সঙ্গে অভিষেক নায়ার এবং রায়ান আছেন ভারতের সহকারী কোচ হিসেবে। বোলিং কোচ হিসেবে মর্নে মর্কেল যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ সিরিজের ঠিক আগে। দলের কোচিং স্টাফ নিয়ে রোহিত বলেন, ‘গম্ভীর, নায়ারকে আমি খুব ভালোভাবেই চিনি। মর্কেলের বিপক্ষে অনেক কঠিন ম্যাচ খেলেছি। রায়ানের সঙ্গে যদিও খুব বেশি কাজ করিনি। তবে শ্রীলঙ্কা সফরে ওকে দেখে খুব মিশুক মনে হয়েছে। সব কোচের কাজ করার একটা ধরন থাকে। ১৭ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি। অনেক কোচের প্রশিক্ষণে খেলেছি। সকলের নিজস্ব চিন্তাভাবনা থাকে। সেই অনুযায়ী আমাদের মানিয়ে নিতে হয়। পারস্পরিক বোঝাপড়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

এদিন ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার কেএল রাহুলকে নিয়েও আলাদা করে বললেন রোহিত। তিনি বলেন, ‘বিশ্বে খুব কম ক্রিকেটারই রয়েছে, যারা সারা জীবন ফর্মে থাকে। খুব কম ক্রিকেটারের কোনো সমস্যা থাকে না জীবনে। এমনটা খুব কমই হয়। বেশিরভাগ ক্রিকেটারের জীবনে চড়াই-উৎরাই থাকে। ক্যারিয়ারে কখনও ভালো হয়, কখনও খারাপ। তাই সবচেয়ে ভালো হচ্ছে নিজেকে বুঝে চলা। নিজের ওপর প্রত্যাশার চাপ তৈরি না করা। রাহুল কেমন ক্রিকেটার সেটা সবাই জানে। আমরা রাহুলকে সব ম্যাচে খেলাতে চাই। সেটা ওকে বলা হয়েছে। আমরা চাই ওর মধ্যে থেকে সেরাটা বার করে আনতে।’

উল্লেখ্য, ১৯ তারিখ থেকে ভারতের মাটিতে শুরু হবে বাংলাদেশ ও ভারতের দুই টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজ। কানপুরে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে দুই দলের খেলার কথা দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। দুটি টেস্টই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকালে ১০টায়। এরপরেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ৬ অক্টোবর গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টির পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে ৯ ও ১২ অক্টোবর। এই সিরিজের সবগুলো ম্যাচই হবে দিবারাত্রির।

এফআই