বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকাবেন বিরাট কোহলি– কদিন আগেই বাংলাদেশ বনাম ভারত টেস্ট সিরিজের আলাপে এভাবেই বলেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটার বাসিত আলি। বাংলাদেশের বিপক্ষে এমনিই বিরাটের পরিসংখ্যান ভালো। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজ এবং ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজে ফর্ম ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশকেই পাখির চোখ করেছেন ভারতের এই ব্যাটার। 

অনুশীলনে বিরাট কোহলি পরিশ্রমের মাত্রা বাড়িয়েছেন। তার ছক্কায় এম চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামের দেয়াল ভেঙ্গেছে এমন খবরও এসেছে সামনে। তবে ভারতের গণমাধ্যম জানাচ্ছে, গতকাল নিজেদের অনুশীলনেও বিরাট কোহলিকে কঠিন সময় উপহার দিয়েছেন দুই বোলার জাসপ্রিত বুমরাহ এবং গুরনুর ব্রার। 

৬ ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতার গুরনুরকে আনা হয়েছিল বাংলাদেশের নাহিদ রানাকে সামাল দেয়ার উদ্দেশ্যে। পাকিস্তান সিরিজে দুর্দান্ত সময় পার করা নাহিদ রানাকে নিয়ে আলাদাভাবেই ভাবনা ছিল ভারতের। সে কারণেই পাঞ্জাব থেকে উড়িয়ে আনা হয় দীর্ঘদেহী গুরনূরকে। কোহলিকে নেটে বেশ পরীক্ষাই নিয়েছেন তিনি। দীর্ঘদেহী এই পেসারের বাউন্সারে বেসামাল হয়েছেন কোহলি। 

তবে গুরনুরের চেয়েও জাসপ্রিত বুমরাহর বলেই বেশি ভুগেছেন কোহলি। একের পর এক ইনসুইং করেছেন বুমরাহ। তাতে পরাস্ত হয়েছেন কোহলি। কয়েকবারই বল আঘাত করেছেন তার প্যাডে। এলবিডব্লিউ এর উদযাপনও করেছেন বুমরাহ। 

ভারত সফরে বাংলাদেশ দলে সুইং ভ্যারিয়েশনের জন্য বড় আস্থার জায়গা হতে পারেন তাসকিন আহমেদ। আর বাউন্সারের জন্য নাহিদ রানা নিঃসন্দেহে বড় ভরসা। চেন্নাইয়ের লাল মাটির পিচে পেসাররা শুরুর দিকে খানিকটা সুবিধা পাবেন তা আগে থেকেই অনুমান করা হয়েছিল। 

কোহলির বিপক্ষে তাই পেস আক্রমণের এই দুই অস্ত্রের ওপরেই নির্ভর করতে চাইবে বাংলাদেশ। ইনসুইং আর বাউন্সারে কোহলির সমস্যা অবশ্য পুরাতন কিছু নয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তানজিম সাকিবের ইংসুইং ডেলিভারিতেই বোল্ড হয়ে ফিরেছিলেন তিনি। টেস্টে সেই পথেই বাংলাদেশ হাঁটবে কি না, সেটা অবশ্য সময়ই বলে দেবে। 

জেএ