দেশের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট এনসিএলকে অনেকেই পিকনিক ক্রিকেট বলে থাকেন, যা শুনলে কষ্ট পান বাংলাদেশি ব্যাটার জাকের আলি অনিক। ভারতের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজের দলে ডাক পাওয়া এই ক্রিকেটার বিষয়টি নিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এনসিএলসহ ঘরোয়া টুর্নামেন্টের মাধ্যমে দেশের ক্রিকেটের উন্নতি হচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি। 

মিরপুরে আজ (শুক্রবার) গণমাধ্যমকে জাকের বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার খুবই কষ্ট লাগে, অনেকে বলে যে, পিকনিক ক্রিকেট। এই জিনিসটা খুব কষ্ট লাগে। আমরা জানি, আমরা কতটা কষ্ট করে খেলি ক্রিকেটার হিসেবে। তাই দয়া করে এই কথাগুলো বলবেন না। আমি এই কথায় খুব দুঃখ পাই।’

জাকের আলি আরও বলেন, ‘আমি ২০১৭ সাল থেকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলি। আমি জানি, আমার কতটা কষ্ট হয়। একেকটা রান করতে কতটা কষ্ট হয়েছে। তাই সবার কাছে অনুরোধ থাকবে (যেন এরকম কিছু বলা না হয়)। ক্রিকেটার হিসেবে আমরা অনেক কষ্ট করি। আরও কষ্ট করব ইনশাআল্লাহ্‌। আমাদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট দিন দিনে উন্নতি হচ্ছে, সামনে আরও হবে।’

নিজেদের খেলায় ‍উন্নতিতে কোচদের অবদান নিয়ে জাকের বলেন, ‘সবশেষ কয়েকটা দিন যে আমরা অনুশীলন করলাম...সোহেল (ইসলাম) স্যার, (মিজানুর রহমান) বাবুল স্যার। উনারা অনেক পরিশ্রম করেছেন। দুই শিফটেও কাজ করেছেন। সকাল বেলা আমাদের লাল বলের ক্রিকেট দেখেছেন, আবার সাদা বলের ক্রিকেট পর্যবেক্ষণ করেছেন বিকেলে। উনারা কী পরিমাণ কষ্ট করছেন সেটা আপনারা বোঝেন।’

তবে ঘরোয়া কোচরা যেভাবে কৃতিত্ব পান না বলেও আক্ষেপ আছে এই তরুণ ব্যাটারের, ‘অবশ্যই ঘরোয়া কোচদের অবদান থ্যাংকলেস বলা যায়। উনাদের সেভাবে হাইলাইট করা হয় না। কারও নাম ধরে বলতে চাই না। সবারই অবদান আছে। প্রত্যেক কোচের সঙ্গে আমার কাজ করা হয়েছে। সবাইকে ছোটবেলা থেকে চিনি। উনারা আমাদের খুঁটিনাটি সব জানেন। উনাদের সঙ্গে ফ্রি-লি কাজ করা যায়।’

এসএইচ/এএইচএস