২২১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দুর্দান্ত শুরু করেছিল সারে। টপ অর্ডারের দারুণ ব্যাটিংয়ে সহজ জয়ে পথে ছিল তারা। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতন ঘটে। ৩ উইকেটে ৯৫ থেকে নাটকীয় ব্যাটিং ধসে সারের স্কোর হয়ে গেল ৮ উইকেটে ১০১। এরপর নবম উইকেট জুটিতে দলকে ফেরানোর চেষ্টা করেন জর্ডান ক্লার্ক ও কেমার রোচ। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা বৃথা গেছে।

লক্ষ্য তাড়ায় দেখে-শুনে শুরু করেন ররি বার্নস ও ডব সিবলি। ২২তম ওভারে বার্নসের বিদায়ে ভাঙে ৩১ রানের উদ্বোধনী জুটি। সেখান থেকে ৪৬ রানে যেতে আরও দুই ব্যাটারকে হারায় সারে। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে সিবলি ও বেন ফোকস কাটিয়ে দেন প্রায় ৩০ ওভার। ৪৯ রানের এই জুটি ভাঙার পরই ধস নামে তাদের ব্যাটিংয়ে।

লিচ পরপর দুই ওভারে ফিরিয়ে দেন দুই সেট ব্যাটারকে। সিবলি ১৮৩ বলে করেন ৫৬ রান, ফোকস ১০০ বলে ২০। লিচের সঙ্গে উইকেট পার্টিতে যোগ দেন আর্চি ভন। এই তরুণ স্পিনার নিজের টানা তিন ওভারে তুলে নেন তিন উইকেট। এর মধ্যে আছেন সাকিবও।

চার উইকেট পতনের পর নেমেছিলেন সাকিব। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের কাছে তখন অনেক প্রত্যাশা ছিল দলের। কিন্তু আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। তার খেলা ৫ম বলে আর্চি ভনের টার্ন করে বের হয়ে যাওয়া বলে খোঁচা দিয়ে ধরা পড়েছেন স্লিপে।

সাজঘরে ফেরার আগে রানের খাতাই খুলতে পারেননি সাকিব। প্রথম ইনিংসে ১২ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ডাক মেরেছেন তিনি।

১০ নম্বরে নেমে রোচ প্রতিরোধ গড়েন। তিনি যখন ব্যাটিংয়ে নামেন, তখনও দিনের নির্ধারিত ৯ ওভার বাকি। ক্লার্কের সঙ্গে দারুণ ব্যাটিংয়ে ম্যাচ ড্রয়ের পথে এগিয়ে নিতে থাকেন রোচ। কিন্তু দিনের খেলা ১৫ মিনিটের মতো বাকি থাকতে ক্লার্কের বিদায়ে ভাঙে ৬৪ বল স্থায়ী জুটি।

এরপর শেষ উইকেট জুটিতে আরও মিনিট দশেক কাটিয়ে দেন ড্যানিয়েল ওরাল ও রোচ। তবে ভাগ্য তাদের সঙ্গী ছিলো না। দিনের খেলার ৫ মিনিট বাকি থাকতে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ওরাল। তাতে সারেকে ১০৯ রানে গুটিয়ে ১১১ রানের জয় পায় সমারসেট।

এইচজেএস