শেষটা সুন্দর হলো সাকিব আল হাসানের জন্য। সারে এক ম্যাচের জন্য দলে টেনেছিল তাকে। উদ্দেশ্য ছিল স্পিন বোলিং বিভাগটাকে শক্তিশালী করা। দুই পার্ট টাইম স্পিনারই ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের হয়ে ব্যস্ত। এমন অবস্থায় কাউন্টিতে সাকিবের ওপর প্রত্যাশা ছিল বেশি। সেটা পূরণও করেছেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। 

কাউন্টি ক্রিকেটে সারের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট পেয়েছিলেন। গতকাল তৃতীয় দিনে ররি বার্নস টানা বল করিয়েছিলেন। সাকিবও দিয়েছেন প্রতিদান। দিন শেষে ঝুলিতে ছিল ৪ উইকেট। আর শেষদিনে এসে সমারসেটের শেষ উইকেটও পেয়েছেন তিনিই। ১৩ বছর পর কাউন্টি ক্রিকেটে ফিরে পেলেন পাঁচ উইকেটের দেখা। 

দুই ইনিংস মিলিয়ে সাকিব শিকার করলেন ৯ উইকেট। তৃতীয় দিনের শেষে সাকিব দ্বিতীয় ইনিংসের ২৫ ওভারে ৮৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। নিজের দ্বিতীয় বলেই আর্চি ভনকে বোল্ড করার পর পঞ্চম ওভারে টম অ্যাবেলকে ফেলেছেন এলবিডব্লুর ফাঁদে। এরপর ফিরিয়েছেন জেমস রিউ ও সমারসেট অধিনায়ক লুইস গ্রেগরিকেও। 

শেষ দিনে এসে পেলেন টম ব্যান্টনের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। প্রথম ইনিংসে সমারসেটের হয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন ব্যান্টন। আজ তাকে বোল্ড করে ফেরালেন সাকিব আল হাসান। পূর্ণ করলেন ৫ উইকেট। 

সাকিবের এমন বোলিংয়ের সুবাদেই কি না ম্যাচে সুবিধাজনক অবস্থায় আছে সারে। তৃতীয় দিনের শেষে সমারসেটের লিড ১৯০ রান। চতুর্থ দিনের শুরুতে যোগ করেছে আরও ৩০ রান। শেষদিনে বাকি আছে আড়াই সেশনের খেলা। সারের সামনে লক্ষ্য এখন ২২১ রান। 

এর আগে প্রথম ইনিংসে সমারসেটের সংগ্রহ ছিল ৩১৭ রান। টম ব্যান্টনের দারুণ সেঞ্চুরির পরেও সাকিবের ৪ উইকেট শিকারে প্রতিপক্ষকে নাগালে রেখেছিল সারে। জবাবে টম কারানের ৮৬, রায়ান প্যাটেলের ৭০ রানের ইনিংসে ৪ রানের লিড পায় সারে। সাকিব আউট হন ১২ রানে। 

আর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সমারসেট পড়েছে সাকিবের তোপে। ৯৬ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। এক ম্যাচের কাউন্টি অধ্যায়টা তাই সাকিবের জন্য সুখকরই বলা যায়। 

জেএ