নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ থেকে সরে গিয়েছে কমনওয়েলথ কারাতের আসর। এবার বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চিয়তা। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ শুরু হবে চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ১৯ তারিখ থেকে। চলবে অক্টোবরের প্রথম ভাগ পর্যন্ত। এরপরেই বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। 

অক্টোবরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরের কথা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। যদিও শেষ সময়ে এসে সিরিজটি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সূচি চূড়ান্ত হলেও প্রোটিয়ারা আদতেই বাংলাদেশে আসবে কিনা তা নিয়ে আছে প্রশ্ন। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝে দলটির আসা না আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ সফরের পুরো বিষয়টি নিজেদের খেলোয়াড়দের ওপর  ছেড়ে দিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।  

চলতি সপ্তাহেই বাংলাদেশ সফর নিয়ে সাউথ আফ্রিকান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এসএসিএ) সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ)। বাংলাদেশ সফরে দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়রা আগ্রহী কি না তা জানতে চেয়েই এই আলোচনার আয়োজন। 

ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে ক্রিকেটারদের কোনো চাপ দিতে চায় না ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা। তারা ক্রিকেটারদের ওপর ছেড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সফরে তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন কিনা। চলতি চক্রে এমনিতেই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে এবং নিজেদের ব্যয় কমিয়ে আনার চিন্তায় টেস্ট সিরিজগুলো সীমিত করে এনেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। 

চলমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ মৌসুমে আর মাত্র ৬টি ম্যাচ বাকি আছে প্রোটিয়াদের। পয়েন্ট টেবিলে তারা সাত নম্বরে রয়েছে। লর্ডসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফাইনালে জায়গা করে নিতে নিজেদের পরের ৬ টেস্টের মধ্যে অন্তত ৫টিতে জিততে হবে সাউথ আফ্রিকাকে। 

প্রোটিয়ারা অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে আসলেও তাতে খেলার সম্ভাবনা নেই মার্কো জানসেন ও জেরাল্ড কোয়েতজির। তাদের মাঠে ফেরার কথা রয়েছে আগামী নভেম্বরে। আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম অনুযায়ী আগামী ২১ অক্টোবর থেকে সিরিজের প্রথম টেস্টটি মাঠে গড়ানোর কথা রয়েছে। যদিও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এখনও কার্যকর রয়েছে। এ কারণেই মূলত সিরিজটি ঝুলে আছে।

এদিকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই সিরিজের কদর আলাদা। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের সামনে বাকি আরও ৬ টেস্ট। সংখ্যাতত্ত্বের জটিল হিসেব বলছে, পরের ৬ টেস্ট থেকে বাংলাদেশের অন্তত ৫ টেস্টে জয় পেলে বাংলাদেশও যেতে পারবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। শেষ পর্যন্ত ফলাফল কোথায় গড়ায় তা জানা যাবে দক্ষিণ আফ্রিকারের ক্রিকেটারদের আলোচনার পর।

জেএ