বাজে সময়ের বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া পাকিস্তানের অধিনায়ক পরিবর্তন নিয়ে নতুন গুঞ্জন শুরু হয়েছে। দেশটির গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের সাদা বলের (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) অধিনায়ক বাবর আজম ও লাল বলের (টেস্ট) দায়িত্বে থাকা শান মাসুদকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। আর তেমনটা হলে তিন ফরম্যাটেই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। বিষয়টি নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভি।

জাতীয় দলের নেতৃত্বে পরিবর্তনের বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ না করার কথাই জানিয়েছেন তিনি। এই দায়িত্ব পাকিস্তানের কোচ ও নির্বাচকদের হাতে ছেড়ে দিতে চান। গতকাল গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে এক প্রশ্নের জবাবে মহসিন নাকভি বলেন, ‘আমি এই বিষয়টি (নেতৃত্ব পরিবর্তন) তাদের (নির্বাচক ও কোচ) হাতে ছেড়ে দিয়েছি।’

গণমাধ্যমের কাছে তিনি আরও বলেন, ‘২২ সেপ্টেম্বর থেকে আমাদের একটি কর্মশালা আছে। সেখানে নিজেদের মতামত দেওয়ার জন্য সবাই আমন্ত্রিত। এর পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমি জানি যে কোনো ভুল হলে আমাকেই দায় দেওয়া হবে। দল যদি ভালো না খেলে, নির্বাচকরা যদি দল নির্বাচনে ভুল করে অথবা কোচ যদি হেরে যায়; এসবের দায় আমার ওপরই পড়বে।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দল যেমন ব্যর্থ ছিল, তেমনি একই বৃত্তে আটকে ছিলেন পাকিস্তানের সাদা বলের (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) অধিনায়ক বাবর আজমও। এরপর মাঝে বিরতি দিয়ে ভিন্ন ফরম্যাট দিয়ে তিনি সম্প্রতি মাঠে নেমেছিলেন। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে তার দল টেস্টে লজ্জার নজির গড়েছে, বাবর নিজেও দলের প্রয়োজনে ত্রাতার ভূমিকা নিতে পারেননি। টেস্ট সিরিজ হারের পর তাই তাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে জোর গুঞ্জন ওঠে। সেটি আরও জোরালো হয় পাকিস্তানের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ওয়ানডে কাপের কোনো দলেই বাবরকে নেতৃত্ব না দেওয়ায়।

এই যুক্তি দেখিয়ে সূত্রমতে পাকিস্তানের জিও নিউজ জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে বাবরকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য নতুন কাউকে অধিনায়ক বানানোর চিন্তাভাবনা করছে পিসিবি। এ নিয়ে নাকি জুলাইয়ে বোর্ডের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন পাকিস্তানের এই দুই ফরম্যাটের কোচ গ্যারি কার্স্টেন। যেখানে অধিনায়ক হিসেবে আলোচনা হয়েছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের নামটি। তিনি যদি এই দায়িত্ব নিতে রাজি হন, ভবিষ্যতে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকেই পাকিস্তানের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক করা হতে পারে। ফলে টেস্ট অধিনায়কের পদ হারাতে পারেন শান মাসুদও।

পাকিস্তানের হয়ে শান মাসুদ নেতৃত্ব দিয়েছেন পাঁচ টেস্টে। কিন্তু কোনো ম্যাচেই আসেনি জয় কিংবা ড্র। বরং লজ্জার হার জুটেছে প্রতিটি ম্যাচেই। অস্ট্রেলিয়াতে বেনো-কাদির ট্রফির ৩ ম্যাচেই হারতে হয়েছে বড় ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচে ৩৬০ রানের হারের পর, দ্বিতীয় ম্যাচে হারতে হয়েছে ৭৯ রানে। আর শেষ ম্যাচে ফলাফল ছিল ৮ উইকেটের হার। 

এএইচএস