টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দল যেমন ব্যর্থ ছিল, তেমনি একই বৃত্তে আটকে ছিলেন পাকিস্তানের সাদা বলের (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) অধিনায়ক বাবর আজমও। এরপর মাঝে বিরতি দিয়ে ভিন্ন ফরম্যাট দিয়ে তিনি সম্প্রতি মাঠে নেমেছিলেন। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে তার দল টেস্টে লজ্জার নজির গড়েছে, বাবর নিজেও দলের প্রয়োজনে ত্রাতার ভূমিকা নিতে পারেননি। ফলে ফর্মহীন এই তারকাকে নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা।

এদিকে, বাংলাদেশের কাছে হেরে বেশ ব্যাকফুটে অবস্থানে পাকিস্তান। তারা ১৯৬৫ সালের পর এই প্রথম তারা টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের আট নম্বরে নেমে গেছে। এরপর পাকিস্তান অক্টোবরে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে যাবে ইংল্যান্ডে। নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে রয়েছে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ। অজিদের বিপক্ষে সাদা বলের সেই সিরিজেই পাকিস্তানের নতুন কাউকে অধিনায়কত্বে আনার গুঞ্জন উঠেছে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, ঘরোয়া টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ওয়ানডে কাপে বাবরকে নেতৃত্বের জন্য বেছে নেয়নি পিসিবি। ফলে জাতীয় দলেও সাদা বলের ফরম্যাটে তাকে নেতৃত্বে রাখা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। সূত্রমতে, অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে তাকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য নতুন কাউকে অধিনায়ক বানানোর চিন্তাভাবনা করছে পিসিবি। এ নিয়ে নাকি জুলাইয়ে বোর্ডের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন পাকিস্তানের এই দুই ফরম্যাটের কোচ গ্যারি কার্স্টেন। যেখানে অধিনায়ক হিসেবে আলোচনা হয়েছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের নামটি। তিনি যদি এই দায়িত্ব নিতে রাজি হন, ভবিষ্যতে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকেই পাকিস্তানের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক করা হতে পারে।

পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ওয়ানডে কাপ টুর্নামেন্টে পাঁচটি দলের নেতৃত্ব পেয়েছেন– সৌদ শাকিল (ডলফিন্স), শাহিন শাহ আফ্রিদি (লায়ন্স), শাদাব খান (প্যান্থারস), মোহাম্মদ হারিস (স্টালিয়ন) ও মোহাম্মদ রিজওয়ান (উলভস)। এসব অধিনায়কত্ব বেছে নেওয়ায় ভূমিকা রেখেছেন পাকিস্তানের সাবেক পাঁচ সাবেক। যদিও তাদের মধ্যে সরফরাজ আহমেদ সবশেষ টেস্ট সিরিজের স্কোয়াডেও ছিলেন। পাঁচ দলের মেন্টররা হচ্ছেন– মিসবাহ-উল হক (উলভস), সাকলাইন মুশতাক (প্যান্থারস), সরফরাজ আহমেদ (ডলফিন্স), শোয়েব মালিক (স্ট্যালিয়ন্স) ও ওয়াকার ইউনিস (লায়ন্স)।

প্রসঙ্গত, ফর্মহীনতার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান ক্রিকেটের আলোচিত নাম বাবর। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে তিনি যথাক্রমে শূন্য ও ২২ এবং দ্বিতীয় টেস্টে যথাক্রমে ৩১ ও ১১ রান করেন। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে টেস্ট ব্যাটারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে। যেখানে বাবর তিনধাপ পিছিয়ে ১২ নম্বরে নেমে গেছেন। দীর্ঘ সময় সেরা দশে থাকা এই ব্যাটার এবার ছিটকে গেলেন সেই কক্ষপথ থেকে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ সিরিজে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২৯৪ রান করেছেন রিজওয়ান।

এএইচএস