পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পর ভারতের মাটিতে খেলতে যাবে বাংলাদেশ দল। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর প্রথম টেস্ট দিয়ে শুরু হবে দুই ফরম্যাটের এই সিরিজ। যেখানে পাকিস্তানকে হারানো টাইগারদের হালকাভাবে দেখতে চাইবে না স্বাগতিকরা। দুলীপ ট্রফি দিয়ে সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন টেস্ট দলের ক্রিকেটাররা। নিজেদের পুরো প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেছেন ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার ঋষভ পান্ত।

আগামী পাঁচ মাসে সবমিলিয়ে ১০টি টেস্ট ম্যাচ খেলবে ভারত। যা বাংলাদেশ সিরিজের দুই টেস্ট দিয়ে শুরু হবে। এরপর নিউজিল্যান্ডে তিনটি এবং অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হবে পাঁচ টেস্টের বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ম্যাচটি হবে চেন্নাইয়ের চিপকে, এরপর লাল বলের শেষ ম্যাচ হবে কানপুরে। পরবর্তীতে দুই দল তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হবে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজ নিয়ে জিও সিনেমাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পান্ত বলেছেন, ‘পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মতো এশিয়ান দেশগুলো ভালো পারফর্ম করে। কারণ তারা এই কন্ডিশন ভালোভাবে জানে এবং এ ধরনের উইকেটে খেলে অভ্যস্ত। ভারতীয় দল হিসেবে আমরা নিজেদের ঘরানার ক্রিকেটে মনোযোগ দিচ্ছি এবং ভাবনায় আছে কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়। প্রতিপক্ষের কথা না ভেবে একই মানসিকতা নিয়ে শতভাগ দেওয়ার ভাবনা থাকে প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন দিনে।’

ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় হওয়া চোট কাটিয়ে ক্রিকেটে ফেরার পর সীমিত ওভারের ফরম্যাটে খেলেছেন পান্ত। বাংলাদেশ সিরিজ দিয়ে তিনি লাল বলের ক্রিকেটেও ফিরতে পারেন। এর আগে ২০২২ সালে নিজের সবশেষ টেস্টটাও তিনি খেলেছিলেন টাইগারদের বিপক্ষে মিরপুরে। এবারের সিরিজকেও হালকাভাবে নিচ্ছেন না এই তারকা, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো সিরিজকেই হালকভাবে নিতে পারবেন না। এখানে সবসময়ই চাপ থাকে। জয়-পরাজয়ের মাঝে খুব অল্প ব্যবধান থাকে এবং বর্তমানে আন্তর্জাতিক দলগুলোর মাঝেও খুব একটা তফাৎ থাকে না।’

ভারতে আজ থেকে লাল বলের টুর্নামেন্ট দুলীপ ট্রফির খেলা শুরু হয়েছে। যেখানে পান্ত ছাড়াও খেলছেন লোকেশ রাহুল, শুভমান গিল, কেএল রাহুল, কুলদীপ যাদব, আকাশ দীপ, যশস্বী জয়সওয়াল, সরফরাজ খান, মুকেশ কুমার, শ্রেয়াশ আইয়ার, আরশদীপ সিং ও কেএস ভারত। এ ছাড়া জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা অভিমন্যু ইশ্বরন, দেবদুত পাদিক্কাল, সাই সুদর্শন, সাই কিশোর, সৌরভ কুমার ও যশ দয়ালরাও টুর্নামেন্টটিতে ভালো পারফরম্যান্স করে নির্বাচকদের নজর কাড়তে চান।

টুর্নামেন্টটিকে দেশের ক্রিকেটের উন্নতির ভালো মঞ্চ বলে মনে করেন পান্ত। একইসঙ্গে টেস্টে দেশকে আগের মতো জেতার আশা শোনা যায় তার কণ্ঠে, ‘দুর্ঘটনার পর আমার খালি একটা কথাই মনে হতো– ‘‘কবে আবার মাঠে ফিরব?’’ আইপিএল খেলেছি, বিশ্বকাপ জিতেছি, আমার একটা স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। এবার লাল বলের ক্রিকেট খেলতে চাই। টেস্টে যেভাবে দলকে জেতাচ্ছিলাম, সেটা আবার করতে চাই। আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়াতে খেলা ক্রিকেটাররা পরস্পরের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে। তাতে ওদের ক্রিকেটের উন্নতি হয় এবং এটি দেশের ক্রিকেটের লাভ। আশা করছি, দুলীপে ভাল খেলব, ভাল প্রস্তুতি হবে। বাংলাদেশের বিপক্ষেও সেটা কাজে লাগবে।’

এএইচএস