নিজেদের ২৪ বছরের টেস্ট ইতিহাসে অবিস্মরণীয় সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে দেশের বাইরে সিরিজ জয়ের রেকর্ড থাকলেও, পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয় ও সিরিজ এলো এবারই। এমন দলীয় সাফল্যের পর বড় সুসংবাদ পেয়েছেন লিটন দাস, মেহেদী মিরাজ ও হাসান মাহমুদরা। তবে এমন মুহূর্তেও সাকিব আল হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক ও শরিফুল ইসলাম টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়েছেন।

আজ (বুধবার) পুরুষ ক্রিকেটারদের সাপ্তাহিক হালনাগাদকৃত টেস্ট র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে আইসিসি। যেখানে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা সিরিজের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ব্যক্তিগত র‌্যাঙ্কিংয়ে বড় রদবদল ঘটেছে। দলীয় সাফল্য যেমনই হোক, ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে ক্রিকেটারদের উন্নতি-অবনতি দেখা গেছে র‌্যাঙ্কিংয়ে।

রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের ২৬/৬ বিপর্যয়ের পর ১৩৮ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেন লিটন দাস। এর আগে প্রথম টেস্টেও ছিল একটি ফিফটি। যার সুবাদে টেস্ট ব্যাটারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন লিটন, ১২ ধাপ এগিয়ে তার বর্তমান অবস্থান ১৫তম। তার সঙ্গে দ্বিতীয় টেস্টে ১৬৫ রানের জুটি গড়তে গিয়ে মেহেদি মিরাজ খেলেছেন ৭৮ রানের ইনিংস। প্রথম টেস্টেও তার একটি ইনিংস ছিল ৭৭ রানের। ফলে তিনি ব্যাটিংয়ে ১০ ধাপ এগিয়ে উঠে গেছেন ৭৫ নম্বরে। টেস্টের অলরাউন্ড র‌্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ এগিয়ে সাতে উঠেছেন মিরাজ।

বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট ব্যাটারদের তালিকায় আর উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি কারও। তবে শান্ত, সাকিব ও মুমিনুলরা পিছিয়েছেন। মুশফিক প্রথম টেস্টে ১৯১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেললেও তার অবস্থান (১৭তম) রয়েছে অপরিবর্তিত। সিরিজে মুমিনুল একটি ফিফটি পেয়েছেন ঠিকই, তবে সবমিলিয়ে নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারা এই বাঁ-হাতি ব্যাটার পিছিয়েছেন তিন ধাপ (৪৯)। এ ছাড়া ব্যাট হাতে ব্যর্থ সাকিব দুই ধাপ (৪৫) ও শান্ত পিছিয়েছেন তিন ধাপ (৬৬)।

টেস্ট বোলিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন হাসান মাহমুদ। পাকিস্তান সিরিজে ৮ উইকেট পাওয়া এই টাইগার পেসার এগিয়েছেন ১৬ ধাপ। তার বর্তমান অবস্থান ৫৭তম, ৩৬৭ রেটিং পয়েন্টও তার ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ। এক ফাইফারসহ দুই টেস্টে ১০ উইকেট পাওয়া মিরাজ এক ধাপ এগিয়েছেন (২২)। দ্বিতীয় ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘদিন পর টেস্টে ফেরা তাসকিন আহমেদ এগিয়েছেন ১১ ধাপ (৮৫)।

পাকিস্তান সিরিজে খেলতে না পারলেও, টেস্টে বাংলাদেশিদের মধ্যে সবার ওপরে থাকা তাইজুলের অবস্থান (১৯) অপরিবর্তিত। তবে পিছিয়েছেন সাকিব (এক ধাপ– ২৯), প্রথম টেস্ট খেলা শরিফুল (চার ধাপ– ৬৭)। ঘরের বাইরে প্রথমবার সিরিজ খেলতে গিয়েছিলেন নাহিদ রানা। বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ে নতুন এই সেনসেশন দুই টেস্ট মিলিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। ফলে র‌্যাঙ্কিংয়ে তিনি প্রথমবার একশ’র ভেতরে ঢুকেছেন, ২৩ ধাপ এগিয়ে তার বর্তমান অবস্থান ৯৭তম। 

এএইচএস