‘আমি দূর থেকে দেখছি। তবে এই দল নিয়ে আমি দারুণভাবে গর্বিত। আমি কেবল আশা করি, দলটা আরও শক্তিশালী হবে।’ – পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর ঢাকা পোস্টের এই প্রতিবেদকের কাছে এভাবেই নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন অ্যালান ডোনাল্ড। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক এই কোচ এখনো টাইগার ক্রিকেটের নিয়মিত একজন দর্শক। সেটা বোঝা গেল ম্যাচ পরবর্তী আলাপে। 

বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মাটিতে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে জয় এনে দিতে বড় ভূমিকা রেখেছে দেশের পেসাররা। তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম ডোনাল্ডের শিষ্য হয়ে ছিলেন অনেকটা দিন। দেশের পেস আক্রমণের দারুণ সাফল্যটাও আসতে শুরু করে ডোনাল্ডের আমলেই। 

পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর পেস আক্রমণ নিয়ে তাই স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত এই কোচ, ‘এটা অবিশ্বাস্য বলতে গেলে। পেস আক্রমণভাগ মুগ্ধ করে দেয়ার মতো। অসাধারণ এক অর্জন। তারা যেভাবে আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে খেলেছে আর দলগতভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে প্রতিপক্ষের ওপর সেটা অবশ্যই বলার মতো।’ 

কিন্তু পেসারদের তুলনায় ব্যাটার লিটন দাসকে নিয়েই বেশি কথা বললেন ডোনাল্ড। ধারাবাহিকতার অভাবে থাকা লিটনের ব্যাটে রান দেখে বেশ খুশি তিনি, ‘আমরা সবাই বোলিং নিয়ে কথা বলি, তবে এমন একজনের ব্যাটে আমি রান দেখতে চাই সে হলো লিটন দাস। সে অসাধারণ ছিল। লিটন যখন ক্রিজে এলো বাংলাদেশের ৬ উইকেট নেই, এমন অবস্থা থেকে ম্যাচটাকে নিজেদের আয়ত্ত্বে নিয়ে এলো সেটা অসাধারণ।’ 

ডোনাল্ড যোগ করেন, ‘আমি সবসময় বলি, সে অসাধারণ খেলোয়াড়। আর সেটা এমন চাপের সময়ে প্রমাণ করা সেটাই লিটন দাসের সক্ষমতার জানান দেয়। সে খুব একটা ধারাবাহিকতার মাঝে ছিল না, তার জন্য এই সিরিজটা আর মুশফিকুর রহিমের জন্য দারুণ ছিল। তাই যে কেউ হয়ত বলতে পারে বোলিং আক্রমণ ভালো হয়েছে। তবে পুরো দলই আসলে দারুণ লড়াই করেছে কঠিন অবস্থা থেকে।’ 

ডোনাল্ড জানেন সামনের ভারত সিরিজটা বেশ কঠিন হতে চলেছে। তবে প্রোটিয়া এই গ্রেটের বিশ্বাস পাকিস্তান সিরিজ থেকে বড় রকমের অনুপ্রেরণা নিয়েই ভারতে পা রাখবে তার সাবেক শিষ্যরা, ‘এই সিরিজ থেকে তারা আত্মবিশ্বাস নেবে। আশা করি শিখবে আর ভারতেও দারুণ করবে। যদিও কাজটা সহজ না। কিন্তু পাকিস্তানকে তাদের মাঠেই এভাবে হারিয়ে আসা, এটা স্মারক হয়ে থাকবে দলের জন্য।’  

এসএইচ/জেএ