নিজেদের মাঠে এমন লজ্জা আগে কেবল একবারই হয়েছিল পাকিস্তানের ক্রিকেটে। সাম্প্রতিক সময়টা ভাল যাচ্ছে না পাকিস্তানের জন্য, সেটা স্বীকার করবেন যে কেউই। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার পর থেকে দলটিতে নেই আন্তর্জাতিক শিরোপা। ২০১৬ সালে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠলেও এখন সেই সুসময় নেই পাকিস্তানের। 

অবশ্য এমন বাজে অবস্থার মাঝেও নিজেদের সমর্থকদের সামনে হোয়াইটওয়াশের লজ্জাটা পেতে হয়নি। ঘরের মাঠে সিরিজ তাদের জেতা হয়নি ঠিকই, কিন্তু সিরিজের সব টেস্টে হারতে হবে এমন সময়ও আসেনি। ২০২২ সালে এসে দেখতে হয়েছে সেটাও। ইংল্যান্ডের বাজবলের সামনে ৩ ম্যাচের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানেই হারতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। 

এবার বাংলাদেশ তাদের দিতে পারে এমনই এক লজ্জা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে দুই ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান সফরে আছে বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে এরইমাঝে পাকিস্তানকে প্রথমবার টেস্টে হারানোর স্বাদ পেয়েছে টাইগাররা। এবারের মিশন হোয়াইটওয়াশ। যেখানে এরইমাঝে নিজেদের কাজ অনেকটাই সেরে রেখেছে টপঅর্ডার ব্যাটাররা। 

১৮৫ রানের লক্ষ্যে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ৫ম দিনের প্রথম সেশন শেষে স্কোরবোর্ডে তুলেছে ১২২ রান। আর ৬৩ রান করলেই পাকিস্তানকে দেবে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। যা হবে দেশের মাঠে পাকিস্তানের জন্য মাত্র দ্বিতীয়বার হোয়াইটওয়াশ। 

এই ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশের জন্যও আছে বিশেষ অর্জন। ২০০৯ সালের পর প্রথমবার দেশের বাইরে টানা দুই টেস্ট জয় করবে বাংলাদেশ। এছাড়া এটি হবে দেশের বাইরে বাংলাদেশের জন্য তৃতীয়বার টেস্ট সিরিজ জয়। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাদেরই মাঠে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।

২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাদের মাঠে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করেছিল বাংলাদেশ। টাইগার ক্রিকেটে সেবারই প্রথম অধিনায়ক হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। গ্রেনাডায় তারই ৯৬ রানে ভর করে ২১৫ রানের টার্গেট পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ। যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বেশি রানতাড়া করে জয়ের নজির। 

এরপর থেকে দেশের বাইরে আরও ৬ টেস্ট জিতলেও আর কখনোই টানা জেতা হয়নি টাইগারদের। এছাড়া দেশের মাটিতে ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা তিন টেস্ট জয় করে বাংলাদেশ। এরপর ২০১৮ সালে আবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ জেতে টাইগাররা। 

জেএ