প্রথমবারের মতো টাইগার ক্রিকেটের সামনে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের হাতছানি। প্রথম টেস্ট দশ উইকেটে জয় পেয়েছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। চতুর্থ ইনিংসে সফলভাবেই রান তাড়া করেছিল বাংলাদেশ। এবারেও সমীকরণ সেই আগের মতোই। রানের সংখ্যা ৩০ থেকে বেড়ে ১৮৫ হয়েছে। ৫ম দিনে বৃষ্টির সম্ভাবনাও আছে প্রবল। 

এসব কিছু পাশে রেখে, পরিসংখ্যানের খাতা খুললে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই আশাবাদী হবে। টেস্টে যে এর আগে কখনোই ২০০ এর নিচে রানতাড়া করতে গিয়ে হারতে হয়নি। অবশ্য টেস্টে বাংলাদেশ এর আগে মোটে ৬ বার চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করে জয় পেয়েছে। সর্বোচ্চ টার্গেট ছিল ২১৫। 

সেটা এসেছিল সেই ২০০৯ সালে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় সারির এক দলের বিপক্ষে সাকিব আল হাসানের ৯৬ রানে ভর করে ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। এরপর থেকেই যখনই টেস্টে ২০০ এর নিচে টার্গেট পেয়েছে বাংলাদেশ, প্রতিবারই জিতে ফিরেছে। 

টেস্ট ক্রিকেটে সামগ্রিকভাবে ৪র্থ ইনিংসে বাংলাদেশের রেকর্ড খুব একটা সুখকর না। এখন পর্যন্ত ৪০ বার রান তাড়া করেছে, তার ২৯টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ, ড্র করেছে ৫টিতে। সর্বোচ্চ করেছিল ৪১৩ রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যারাথন সেই ইনিংস খেলেও টাইগাররা হেরেছিল ১০৭ রানে। 

কিন্তু টার্গেট যেহেতু ১৮৫ রান। তাই জয়ের স্বপ্ন দেখতেই পারে বাংলাদেশ। এর আগে দুইবার এরচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয় দেখেছে টাইগার ক্রিকেট। একটি ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ২১৫ রানের টার্গেটে। অন্যটি গলে ২০১৫ সালে। নিজেদের শততম টেস্ট খেলতে নেমে লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৯১ রান। ৬ উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতে এসেছিল বাংলাদেশ। 

 

১৮৫ বা এর চেয়ে কম রানের পুঁজি নিয়ে পাকিস্তান টেস্ট জিতেছে মাত্র তিনবার। ২০২২ সালে ইংল্যান্ডকে ১৪৫ রানের টার্গেট দিয়ে আটকে দিয়েছিল ৭২ রানে। ইংল্যান্ডকেই ১৯৫৪ সালে ১৬৮ এবং নিউজিল্যান্ডকে ১৯৯৩ সালে ১২৭ রানের টার্গেট দিয়েও ম্যাচ নিজেদের পক্ষে এনেছিল পাকিস্তান। 

জেএ