রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের সামনে ইতিহাসের হাতছানি। টেস্ট ফরম্যাটে কখনো পাকিস্তানকে হারাতে না পারা বাংলাদেশ এবার স্বাগতিকদের ধবলধোলাইয়ের স্বপ্ন দেখছে। বৃষ্টিতে চতুর্থ দিনের খেলা ভেস্তে যাওয়ার আগে ১৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু এনে দিয়েছেন টাইগার দুই ওপেনার। সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসানের অবিচ্ছিন্ন জুটি থেকে এসেছে ৪২ রান। 

পাকিস্তানকে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়ে ইতিহাস গড়তে আগামীকাল (মঙ্গলবার) পঞ্চম দিনে বাংলাদেশের দরকার আর ১৪৩ রান। উইকেট অক্ষত আছে সবকটি।

অন্যদিকে, প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটের ভরাডুবির পর দ্বিতীয় তথা শেষ টেস্ট বাঁচাতে পাকিস্তানের দরকার ১০ উইকেট। অবশ্য বৃষ্টিতে পঞ্চম দিন ভেস্তে গেলেও পয়েন্ট ভাগাভাগির সুযোগ থাকছে। এই মুহূর্তে পাকিস্তানের ভক্তরা হয়তো দ্বিতীয়টারই বেশি প্রত্যাশা করছে!

আগামীকাল কেমন থাকবে আবহাওয়া?

বেরসিক বৃষ্টির জোরাল সম্ভাবনা নিয়েই টেস্ট শুরু হয়েছিল রাওয়ালপিন্ডিতে। আভাস সত্যি করে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে গড়ায়নি কোনো বল। মাঝে আবহাওয়া খেলার অনুকূলে থাকলেও চতুর্থ দিন বিকেলে বৃষ্টির বাগড়ায় দিনের খেলা পরিত্যক্ত হয়ে যায়। 

আগামীকালকের আবহাওয়া কেমন থাকবে এ নিয়ে সবার জল্পনা চলছে। আকুওয়েদারের তথ্য বলছে, মঙ্গলবার সকালে রাওয়ালপিন্ডিতে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। পাশাপাশি বাতাসের বেগ থাকবে ঘণ্টায় ১১ কিলোমিটার। এ ছাড়া তাপমাত্রা থাকবে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস আরও বলছে, খেলা শুরুর সময় তথা স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। এরপর কিছু সময় বজ্রঝড়ের সম্ভাবনাও আছে। এ ছাড়া বৃষ্টির মাঝে রোদের ঝলকানিও দেখা যেতে পারে। অবশ্য কিছু সময়ের জন্য বৃষ্টি বন্ধ থাকলেই জয়ের নোঙরে পা ফেলতে পারে বাংলাদেশ। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সমর্থকদেরও আশা তেমনটাই। 

এর আগে ১৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। বিশেষ করে জাকির হাসান শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। তাতে এখনও পর্যন্ত সফল এই ওপেনার। ইনিংসের বয়স ৭ ওভার, এরই মধ্যে জাকিরের ব্যাট থেকে এসেছে ২ চার আর ২ ছক্কা। সবমিলিয়ে তিনি এদিন ব্যাটিং করেছেন ১৩৪ স্ট্রাইকরেটে।

অপর প্রান্ত থেকে জাকিরকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন সাদমান। তিনি দেখে-শুনে টেস্ট মেজাজেই ব্যাটিং করেছেন। দুই ওপেনারের দৃঢ়তায় জয়ের পথে ভালোভাবেই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। টাইগারদের এমন উড়ন্ত শুরুতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আলোক স্বল্পতা।

চা বিরতির পর এক ওভার খেলা হয়েই বন্ধ হয়ে যায়। রাওয়ালপিন্ডির আকাশে দেখা যায় ঘনকালো মেঘ, জ্বালানো হয় স্টেডিয়ামের সব কটি ফ্লাডলাইট। তবে ম্যাচ–উপযোগী আলো নেই বলে খেলা বন্ধ করেন আম্পায়াররা। এরই মধ্যে মাঠকর্মীরা পিচ ঢেকে দেন।

কিছুক্ষণ পরই নামে বৃষ্টি। তখনই দিনের খেলা প্রায় ঘণ্টা দেড়েক বাকি ছিল। তবে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় আউট ফিল্ডে পানি জমে। বৃষ্টি থামলেও মাঠ খেলার উপযুক্ত করতে আরো বেশ কিছু সময় লাগবে, এ কারণে দিনের খেলা এখানেই শেষ করেন আম্পায়াররা।

এফআই