দারুণ একটা দিন গতকাল পার করেছেন বাংলাদেশের লিটন কুমার দাস। ২৬ রানে ৬ রানে পতনের পর বাংলাদেশের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার রাওয়ালপিন্ডির ক্রিজে খেলেছেন মনে রাখার মতো এক ইনিংস। তার ওই ১৩৮ রানের ইনিংস বাংলাদেশকে দারুণভাবে টিকিয়ে রেখেছে। তবে লিটন দাসের অমন ইনিংসের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাতে পারেন মেহেদি মিরাজ এবং হাসান মাহমুদকে। 

মিরাজ ৭৮ রানে ফেরার পর হাসান আলী খেলেছেন ৫১ বলে ১৩ রানের ধৈর্যশীল এক ইনিংস। যা লিটনকে ইনিংসের শেষে এসে সাবলীল হতে সাহায্য করেছে। পেয়েছেন সেঞ্চুরিটাও। দিনশেষে প্রেসব্রিফিংয়ে এসে এই সেঞ্চুরিয়ান আলাদাভাবে কথা বলেছেন হাসানকে নিয়ে। 

দিনের শেষে সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেন, ‘একটা জিনিস ছিল হাসান যখন আসে আমি তখন ডিফেন্সিভ মাইন্ডসেটে চলে গিয়েছিলাম। আমার বেলায় সব ফিল্ডারই বাইরে। আমার কোনো সুযোগই ছিল না যে বাউন্ডারি বের করার। এখানে হাসানকে কৃতিত্ব দিতে হবে যে সে আমাকে অনেকক্ষণ ধরে খেলানোর সুযোগ দিয়েছে।’

দুজনের মাঝে ক্রিজে কী কথা হয়েছিল সেটাও শোনালেন এরপরেই, ‘হাসানের সাথে কথা ছিল, যতক্ষণ আমরা উইকেটে থাকব, ১-২ রান করে রান আগাবে। যতটা রান আগাবে লিডের পরিমাণটা তাদের কমবে। ফলে অই প্ল্যানিংয়েই আমরা এগিয়েছি।’

শেষ বিকেলে বল হাতেও ঝলক দেখিয়েছেন হাসান মাহমুদ। পাকিস্তানের ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন টাইগার এই পেসার। এর আগে বাংলাদেশও দিনের শুরুতে ভুগেছিল নতুন বলে। লিটন নিজেও স্বীকার করে নিলেন নতুন বলটা বেশ কার্যকরী, ‘অবশ্যই (নতুন বল বেশি কার্যকরী)। আমার মনে হয় প্রথম ১৫-২০ ওভারে নতুন বল খেলাটা অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল ৪০-৪৫ ওভারের তুলনায়। কারণ বল পুরনো হওয়ায় উইকেট (ব্যাটিংয়ের জন্য) কিছুটা ভালো হয়ে গিয়েছিল।’ 

(আগের ম্যাচের পিচ এবং এই ম্যাচের পিচ) একই পিচ নয়। আগের ম্যাচের পিচে আপনি গিয়েই শট খেলতে পারবেন সহজে। তবে এখানে গিয়ে ছন্দটা ধরে রাখতে হবে। কিছুটা স্লো উইকেট ছিল। ফলে ভাবতে হয়েছে কোন শট খেলতে পারবেন আর কোন শট খেলতে পারবেন না।’ – যোগ করেন লিটন। 

এসএইচ/জেএ