টেস্টের প্রথম দিন বৃষ্টির দাপট, দ্বিতীয় দিন পাকিস্তানি ব্যাটারদের ওপর ছড়ি ঘোরালেন বাংলাদেশের বোলাররা। সেই মোমেন্টাম ধরে রেখে তৃতীয় দিনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দায়িত্বটা ছিল টাইগার ব্যাটারদের ওপর। আগেরদিন শেষ বিকেলে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ তুলেছিল ১০ রান। আজ তার সঙ্গে কেবল ৪ রান যোগ হতেই ফিরলেন ওপেনার জাকির হাসান। আগে একবার লাইফ পেলেও সেটি তিনি কাজে লাগাতে পারলেন না।

এরপর যখন নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কথা, তখন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামও ফিরলেন পেছন দিয়ে স্টাম্প হারিয়ে। দুজনকে হারানোর ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই বোল্ড টাইগার অধিনায়ক শান্তও। তিনজনই উইকেট দিয়েছেন পাক পেসার খুররম শেহজাদকে। 

বিপর্যয়ের আরও বাকি, চার নম্বরে নামা মুমিনুল হক কিছু বুঝে ওঠার আগেই ক্যাচ দিয়েছেন মির হামজার বলে। ফুল লেংথে ফেলা সেই ডেলিভারিতে ফ্লিক শট খেলতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক। কিন্তু মিড অনে সেটি ধরা পড়েছে মোহাম্মদ আলির হাতে। মুমিনুল ফিরলেন মাত্র ১ রানে। এ নিয়ে ১৪-২০ রানের ভেতরই ৪ উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা।

এর আগে দিনের শুরু থেকেই নড়বড়ে ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখিয়েছেন জাকির। যে আবরার আহমেদের হাতে তিনি ক্যাচ দিয়েছেন, তার কাছ থেকেই কয়েক বল আগে জীবন পেয়েছিলেন। কিছুটা সামনে ঝুঁকে ক্যাচ নিতে গিয়ে বলটি মাটিতে পড়ে যায়। পরে রিপ্লে দেখে নটআউটের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন আম্পায়ার। রানের জন্য ভুগতে থাকা জাকির ফিরলেন মাত্র ১ রান করে। এরপর দলীয় খাতায় আর ৫ রান যোগ হতেই বোল্ড সাদমান (১০)। খুররমের ব্যাক অব লেংথে ফেলা কিছুটা সুইং পায়, যা পা ঘেষে পেছন দিয়ে তার স্টাম্প ভেঙে দেয়।

তিন নম্বরে নেমে শান্ত শুরুটা করেন থার্ড অন দিয়ে চার হাঁকিয়ে। সাদমান ফেরার একই ওভারে খুররমের চতুর্থ ডেলিভারিতেই বলে লাইনে ব্যাট চালিয়ে মিস করে যান এই বাঁ-হাতি। ফলে মিডল-লেগ স্টাম্প উড়ে যায় তার। দলীয় ২০ রানে তার বিদায়ের পর আর কোনো রান না হতেই আউট হন মুমিনুলও।

এএইচএস