প্রথম টেস্টের সঙ্গে খুব একটা অমিল নেই। সেবারেও পাকিস্তান আগে ব্যাট করেছিল। দ্বিতীয় টেস্টেও তাই। আগেরবার বাংলাদেশ নেমেছিল দ্বিতীয় দিনের একেবারে শেষবেলায়। এবারেও তাই ঘটেছে। তবে প্রথম টেস্টে পাকিস্তান করেছিল ৪৪৮ রান। দ্বিতীয় টেস্টে এসে করতে পারল মোটে ২৭৪। অবশ্য সালমান আলী আঘা সন্তুষ্ট এখানেই। 

প্রথম দিনের খেলা শেষে দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডার। রান কম হয়েছে কি না সেটাই ছিল বড় প্রশ্ন। পাক ব্যাটারের সহজ উত্তর। এমন পিচে এই রানই যথেষ্ট, ‘আমার তো মনে হয়েছে এই পিচে বোলারদের জন্য কিছু আছে। আর ২৭৪ রান যথেষ্ট কি না সেটা এক ইনিংসের পর বলা যায় না। দুই ইনিংস গেলে তবে বোঝা যায় কত রান এখানে সঠিক। তবে আমার মতে রান যথেষ্টই হয়েছে।’

উইকেটে বোলিং-বান্ধব উপাদান থাকার কথা জানান সালমান, ‘প্রথম টেস্টের তুলনায় এবারের উইকেটে ঘাস আছে। আমার তো মনে হয় যথেষ্ট রান আমরা করতে পেরেছি। এখন বোলাররা যদি সঠিক জায়গায় বল রাখতে পারেন, তারা সহায়তা পাবেন।’

পাকিস্তানের বিপক্ষে এদিন দারুণ কার্যকর ছিলেন বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট। বারবার সেট হয়ে গেলেও পাক ব্যাটারদের লম্বা সময় ক্রিজে থাকতে দেননি। তিন ফিফটির পরেও তাই ৩০০ রান পর্যন্ত যাওয়া হয়নি স্বাগতিকদের। আর এজন্য অবশ্য মিরাজ-তাসকিনদের প্রশংসা প্রাপ্য। 

সালমান আঘাও মেনে নিলেন প্রতিপক্ষের দারুণ বোলিংয়ের কথা, ‘শুধু আমিই না, প্রত্যেক ব্যাটার চায় ভালো শুরুর পর ইনিংসটাকে বড় করতে। বাংলাদেশ অনেক ভালো বোলিং করেছে। প্রতিপক্ষকে কৃতিত্ব দিতেই হবে।’ 

ব্যাট হাতে পাকিস্তানের সময়টা ভালো যাচ্ছে না, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে একটা ফিফটিও পাননি দলের বড় তারকা বাবর আজম। সালমান অবশ্য জানালেন তারা চেষ্টা করেই চলেছেন, ‘আমরা যথেষ্ট ক্রিকেট খেলছি। সবসময় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। সেজন্য প্রতিপক্ষকে কৃতিত্ব দিতে হবে। তবে আমরা বড় ইনিংস খেলতে পারছি না, এটা অবশ্যই দুশ্চিন্তার বিষয়। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।’ 

জেএ