বাবরের সমালোচনা নিয়ে যা বললেন রমিজ রাজা
পাকিস্তান ক্রিকেটে ফলাফল পক্ষে না এলে ক্রিকেটারদের নাম ধরে ধরে সমালোচনার বিষয় নতুন নয়। বিশেষ করে তারকা ক্রিকেটাররা বিদ্ধ হন তীব্র সমালোচনার তিরে। বাংলাদেশের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারের পরও তাকে নিশানা বানিয়েছে নেটিজেনরা। সে কারণে বাবরকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা।
খুব বাজে সময় পার করছেন এই তারকা ব্যাটার। টাইগারদের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাবর আউট হয়ে যান রানের খাতা খোলার আগেই। দ্বিতীয় ইনিংসে করেন মোটে ২২ রান। কেবল এই সিরিজই নয়, পাকিস্তানের সীমিত ওভারের অধিনায়ক অনেকদিন ধরেই ব্যাটে উল্লেখযোগ্য রান পাচ্ছেন না। টেস্টের সর্বশেষ ম্যাচেই ফিফটি নেই বাবরের। এ ছাড়া গত এক বছরের সব ফরম্যাট মিলিয়েই মাত্র একটি সেঞ্চুরি করেছেন। গড় রানও কমে যাওয়ায় তাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করছেন ক্রিকেট সমর্থকদের অনেকেই।
বিজ্ঞাপন
যা নিয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে কথা বলেছেন রমিজ রাজা। বাবরকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে, বাবর ছাড়া পুরো জাতির আর কোথাও সমস্যা নেই। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ব্যাপারটা এমন হয়ে গেছে যে দল হেরেছে, আপনিও রান পাননি আর আপনি মানুষটি বাবর আজম– তাহলেই শিরোনাম হয়ে যায় ‘‘আমরা কীভাবে হারলাম? সে কী করল? তার অবদান কী?’’ এর সঙ্গে আছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। এখানে যে কেউই সমালোচনা করতে পারেন, হাসাহাসি করতে পারেন। এগুলো যতটা সম্ভব নিরুৎসাহিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন
ক্রিজে নামার পর মনোযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে বাবরের উদ্দেশে রমিজের বার্তা, ‘ক্রিজে বেশি সময় কাটাতে পারছো না বলে মনোযোগ সরে যাচ্ছে। যদি পা সামনে নিয়ে খেলতে চাও, ওভাবেই খেলো। যদি পা পেছনে নিয়ে খেলতে চাও, তাহলে ক্রিজ ব্যবহার করো। অনুশীলনে হুক আর পুল শট চর্চা করো। তাহলেই বলে মনোযোগ বাড়াতে পারবে।’
সাবেক এই পাক ক্রিকেটার আরও বলেন, ‘ক্রিকেট আমাদের রক্তে মিশে আছে। জানি না, টেস্ট ক্রিকেটে এভাবে কতদিন হারতে হবে। একটা দলের ভক্ত–সমর্থক বাড়ে জয়ের মাধ্যমে। কারণ সমর্থকরা সফল গল্পের অংশ হতে চান। বাবরের সাফল্যের গল্প আছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে তিন সংস্করণেই সে বড় মাপের খেলোয়াড়। এজন্য প্রথমত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এড়িয়ে চলতে হবে। দ্বিতীয়ত, বর্তমানে মনোযোগ রাখতে হবে। রান না পেলে তখন এটা মানসিক খেলায় পরিণত হয় এবং অন্য ভাবনা শুরু হয়।’
এএইচএস