লম্বা সময় ধরে বিসিবির পিচ কিউরেটর হিসেবে কাজ করছেন গামিনি ডি সিলভা। বিশেষ করে মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট সবসময় তিনিই বানান। যে কারণে বেশ সমালোচনাও শুনতে হচ্ছে তাকে। বেশির ভাগ ক্রিকেট বিশ্লেষক কিংবা ক্রীড়া প্রেমীদের ক্ষোভ তার অদক্ষতার কারণেই ফ্ল্যাট উইকেট বানানো সম্ভব হয় না।

মিরপুরের উইকেট বরাবরই স্পিন সহায়ক হয়। সেটার একটা বড় কারণ হতে পারে টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়া। কারণ বাংলাদেশ দল লম্বা সময় ধরে স্পিন নির্ভর একাদশ নিয়ে ঘরের মাঠে খেলতে নামতো। যদিও বর্তমানে সেই ধারণা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছে তারা।

উইকেটের এমন দশার জন্য সবার আঙুল গামিনির দিকে হলেও বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ পুরো দায় এই কিউরেটরকে দিতে নারাজ। বরং তিনি মনে করেন, টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়াতেই উইকেট বানান তিনি। তবে টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়া কতটা পূরণ করতে পেরেছেন গামিনি তা খতিয়ে দেখবে বিসিবি।

গামিনিকে নিয়ে ফারুক বলেন, ‘যখন হোম সিরিজটা খেলি, যে ম্যাচগুলো বিদেশি দলের সঙ্গে, সেখানে শুধু গামিনি নয়; প্রধান কোচ, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান—সবার চাওয়া থাকে। সব দলই ঘরের মাঠের সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। গামিনি আমাদের আরও মাঠে কাজ করতে পারে। (উইকেট কেমন হয়) সিরিজ বাই সিরিজ ঠিক হয়। দুর্নীতি যে হয়েছে, কী মাত্রায় হয়েছে সেটা বের করা আমাদের কাজ। আমার মাত্র সাত দিন হয়েছে। একটু ধৈর্য ধরতে হবে। কিছুই বন্ধ করা যাবে না, সব কাজই করতে হবে। আমাকে এখন অনেক কিছু এক সঙ্গে করতে হচ্ছে।’ 

ফারুক আরও যোগ করেন, ‘ওর চুক্তি আছে ২০২৫ পর্যন্ত। তাকে বাদ দেওয়া যায় না, টমি হেমিং চলে গেছে, দুজন ভারতীয় কিউরেটর ছিলেন, চলে গেছেন। চাইলেই যে পাওয়া যাবে তা নয়। আমাদের অনেক গ্রাউন্ডস স্টাফ আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকাবিজ্ঞানের ছেলেদের অন্তর্ভুক্ত করা যায় কি না আমরা ভাবছি।’

এসএইচ/এইচজেএস