ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়রা টেস্ট খেলতে আগ্রহী না– এমন এক বক্তব্য চালু আছে বেশ অনেকটা দিন আগে থেকেই। সারা বিশ্বেই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে উইন্ডিজ খেলোয়াড়দের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। যার সুবাদে অনেক অখ্যাত নামও রাতারাতি হটকেকে পরিণত হয়েছেন। দেশের হয়ে টেস্ট খেলার চেয়ে এমন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেই তাদের বেশি দেখা মেলে। 

তবে শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ছিলেন এর ব্যতিক্রম। উচ্চতা এবং শারীরিক সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে লম্বা স্পেলে বোলিং করেছেন। হয়েছিলেন দলের অবিচ্ছেদ্য এক অংশ। সেটায় যদিও ছেদ নামছে এবার। নিজের ইন্সটাগ্রামের এক পোস্টে জানিয়ে দিলেন, এখানেই থামতে চান তিনি। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটে আর কখনোই দেখা যাবে না এই পেসারকে। 

৩৬ বছর বয়সে এসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। ইন্সটাগ্রামে লম্বা এক পোস্টে নিজের বিদায়ের কথা জানান তিনি, ‘শেষ ১২ বছর ধরে আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্য নিবেদিত ছিলাম। এই ভালোবাসার খেলাটার সর্বোচ্চ পর্যায়ে অংশ নেয়া আমাকে অসামান্য আনন্দ এনে দিয়েছিল। কিন্তু যেমনটা হয়, সব ভালো কিছুরই একটা শেষ আছে।’ 

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে এক যুগের ক্যারিয়ারে ৮৬ ম্যাচ খেলেছেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। যার মাঝে ছিল ৫৯ টেস্ট, ২৫ ওয়ানডে এবং ২ টি-টোয়েন্টি। এক যুগের ক্যারিয়ারে পেয়েছেন ২০২ উইকেট। সবশেষ খেলেছেন গেল বছর ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে।  

শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে মনে রাখা হবে তার টেস্ট ক্যারিয়ারের জন্যই। ১৬৬ উইকেট পেয়েছিলেন এই ফরম্যাটে। ২০১২ সালে লর্ডসে অভিষেকের পর থেকে তিনিই ছিলেন উইন্ডিজদের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে প্রধান বোলার। ৩২.২১ গড় জানান দেয় উইকেট নেয়ার বেলাতেও যথেষ্ট পটু ছিলেন তিনি। ৫ উইকেট শিকার করেছেন ৬ বার। উইন্ডিজ ক্রিকেটের চতুর্থ সেরা বোলিং ফিগার তারই দখলে। 

নিজের পরিকল্পনা নিয়ে শ্যানন জানান, সামনের দিনগুলো নিজের দেশ ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোর হয়ে, ক্লাব ক্রিকেটে এবং ফ্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেই পার করতে চান তিনি। 

জেএ