পাকিস্তান ক্রিকেটে আরও একবার শোনা গেল বিভক্তির গুঞ্জন। বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০ উইকেটের হারে স্বাভাবিকভাবেই বিষন্ন দলের খেলোয়াড়রা। তবে এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ড্রেসিংরুমের অশান্তি। পাকিস্তানের গণমাধ্যমের ভাষ্য, এমন হারের পেছনে দলের পেস বোলারদেরই দায়ী করছে টিম ম্যানেজমেন্ট। 

২০২১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ঘরের মাঠে পাকিস্তান হারিয়েছিল শাহিন আফ্রিদি এবং হাসান আলির দুর্দান্ত পেসের সুবাদে। এরপর থেকেই পেস সহায়ক উইকেটেই খেলছে তারা। যদিও খুব একটা সুবিধা দলটি করতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই সিরিজের পর থেকে অবশ্য আর টেস্টই জেতা হয়নি পাকিস্তানের।    

রাওয়ালপিন্ডিতে উইকেট করা হয়েছিল পেসারদের কথা মাথায় রেখে। ছিল ঘাসের আধিক্য। পাকিস্তানও নেমেছিল চার পেসার নিয়ে। আর ছিল না কোনো বিশেষজ্ঞ স্পিনার। অবশ্য বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ বলেছিলেন, ‘পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন স্পিনাররাই।’ শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। শেষদিকে সাকিব এবং মিরাজ নেন ৭ উইকেট। তাতেই ম্যাচে জয় পায় টাইগাররা। 

কিন্তু বাংলাদেশের স্পিন সাফল্যের পরেও পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্টের বিশ্বাস স্বাগতিক পেসারদের গাফেলতির কারণেই হারতে হয়েছে দলকে। দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররাও এমনটাই বিশ্বাস করেন। ড্রেসিংরুমে সেটা প্রকাশও করেছেন তারা। ফাস্ট বোলারদের গতিতে ঘাটতির কথাও উল্লেখ করেছেন অনেকেই। স্বাভাবিকভাবেই পুরো বিষয়টি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে দলের ওপর। 

প্রথম ইনিংসে ৪৪৮ রান করেই অনেকটা নিশ্চিন্ত ছিল পাকিস্তান। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিট সেটা টপকে অনায়াসে লিড তুলে নেয়। ৫৬৫ রানের বিশাল এক সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে তারা। ৫ ফিফটিতে ভর করে লিড পেয়ে যায় তারা। পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্ট বিশ্বাস করে গতির ওপর যথেষ্ট জোর না থাকায় এমন বিশাল সংগ্রহ বাংলাদেশের। 

দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ অবশ্য বুঝিয়েছে স্পিনের কার্যকারিতা। ১৪৬ রানেই শান মাসুদের দল গুটিয়ে যায়। টাইগারদের সামনে ছিল ৩০ রানের টার্গেট। সহজেই তা অতিক্রম করেন দুই ওপেনার জাকির হোসেন এবং সাদমান ইসলাম। 

সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ৩০ আগস্ট থেকে। সেই হার এড়ালেই প্রথমবার পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচও হবে রাওয়ালপিন্ডিতে। 

জেএ