ক্যারিয়ারে বহু বিতর্ক আর সমালোচনাই সইতে হয়েছে সাকিব আ হাসানকে। বিভিন্ন সময় নানা অপরাধেই দোষী হয়েছেন, নিষেধাজ্ঞাও ছিল। তবে ফৌজদারি মামলার আসামি কখনো হতে হয়নি সাকিবকে। এবারে যুক্ত হলো সেটাও। জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে হওয়া ছাত্র-জনতা আন্দোলনে নিহত হওয়া গার্মেন্টসকর্মী রুবেলের হত্যা মামলায় আসামি হিসেবে নাম উঠেছে তার। 

৫ই আগস্ট রিংরোডে মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন রুবেল। সেখানেই পুলিশের দুইটি গুলি লাগে তার বুক ও পেটে। ৭ আগস্ট হাসপাতালে মারা যান তিনি। এরপরেই হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে ডিএমপির আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলায় দায়ের হয়েছে। সাকিব আল হাসানকে মামলার ২৮ নম্বর এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে।  

বাদী অভিযোগ করে বলেন, আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ, প্ররোচনা, সাহায্য, সহযোগিতা ও প্রত্যক্ষ মদদে কেউ মিছিলে গুলি ছুড়ে। এরপর থেকেই সাকিবকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয় নতুন করে। আলোচনায় আছে কেমন শাস্তি পেতে পারেন সেটাও। 

সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে মামলার অনেকগুলো ধারাই প্রযোজ্য হচ্ছে না একথা নিশ্চিত। কারণ সাকিব সেই সময় ছিলেন কানাডায়। গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে মাঠে দেখা গিয়েছিল তাকে। এরপরেও বেশ কিছু কঠিন শাস্তি ভোগ করতে পারেন সাকিব আল হাসান। 

মামলার ভাষ্য অনুযায়ী, গার্মেন্টসকর্মী রুবেল হত্যা মামলায় প্ররোচনার অভিযোগ আছে সাকিবের নামের পাশে। তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ছিলেন সাকিব। সে হিসেবে আসতে পারে অভিযোগ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের আইন বলছে, যে অপরাধ ঘটেছে তার সমপরিমাণ শাস্তি পাবেন সাকিব আল হাসান। সেই শাস্তি অবশ্য প্রমাণ হবে আদালতে। 

সাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, রুবেল হত্যার অপরাধের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন সাকিব। আইনের ১২০ এর  দুটি ধারায় এক্ষেত্রে সাকিব শাস্তি পেতে পারে। সর্বনিম্ন ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড। অন্য এক ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৬ মাসের জেল হতে পারে সাকিবের। 

তবে এক্ষেত্রে সকল অপরাধের প্রমাণ বের করতে হবে বাদীকে। ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে অপরাধ প্রমাণের দায় থাকে বাদী পক্ষের। এক্ষেত্রে তদন্ত সাপেক্ষে দোষী প্রমাণিত হলে সাকিবকে পাল্টা যুক্তিতে বোঝাতে হবে তিনি কোনোক্রমেই এই হত্যা মামলার জড়িত নন। কেবল তখনই নির্দোষ প্রমাণিত হতে পারেন এই অলরাউন্ডার। 

জেএ