শাহিন আফ্রিদি, হাসান আলীদের দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্স ঘরের মাঠে বছর তিনেক সগে পাকিস্তানকে জিতিয়েছিল টেস্ট সিরিজ। দুর্দান্ত সেই সিরিজের পর থেকেই পাকিস্তান নিজেদের পরিকল্পনায় নেয় পেস বোলিং সহায়ক উইকেট। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টেও হয়েছিল তেমনই। পাকিস্তান ভাবেনি এমন উইকেটেও কার্যকর হতে পারে স্পিন। কিন্তু বাংলাদেশ বাজিমাত করেছে সেখানেই। 

টেস্ট শুরুর আগেই পাকিস্তান যখন দল থেকে স্পিনার সরিয়ে নেয়, তখন বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ শুনিয়েছিলেন স্পিনারদের ওপর আস্থা রাখার কথা। শেষ পর্যন্ত পার্থক্য গড়ে দিলেন সেই স্পিনাররাই। ৫ম দিনে দুই সেশনে সাকিব-মিরাজরা নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। পার্থক্যটাও গড়ে দিয়েছিলেন দুই স্পিনারই। 

পাকিস্তান ক্রিকেটে অবশ্য গত তিন বছরই চলছে এমন উইকেট এবং জয়খরা। ২০২১ সালের পর থেকে ঘরের মাঠে জেতেনি ম্যান ইন গ্রিনরা। এসময় পেস বোলিং সহায়ক পিচ নিয়মিত তৈরি করেছে দেশটি। তবে তা বোলারদের এনে দেয়নি কোনো সাফল্য। বিগত ৩ বছরে টেস্ট ক্রিকেটে ১৫০ এর বেশি ওভার বোলিং করার নজির ২১টি। যার মধ্যে পাকিস্তানের মাঠেই এমন ঘটনা ছিল ৬ বার। যার মধ্যে ৩ বার বোলিং করেছেন শাহিন-নাসিমরা। 

বল হাতে পাকিস্তানের মাটিতে বোলারদের দুর্দশার চিত্র বোঝাবে আরেকটি পরিসংখ্যান। শেষ তিন বছরে টেস্টে উইকেটপ্রতি পাকিস্তানে বোলারদের খরচ হয়েছে ৪৩ রান। যা বর্তমানে বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ। 

এমন বাজে অবস্থার পরেও পাকিস্তান নেমেছে চার স্বীকৃত পেসার নিয়ে। ছিল না কোনো স্পিনার। যদিও ৫ম দিনে টেস্ট ক্রিকেট আর উপমহাদেশের পিচের অলিখিত নিয়ম মেনেই স্পিনাররা পেয়েছেন সুবিধা। সৌদ শাকিলকে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাক উপহার দেন সাকিব আল হাসান। পেয়েছেন আব্দুল্লাহ শফিক আর নাসিম শাহের উইকেট। 

তবে এরচে বড় বাজিমাত করেছেন মেহেদি মিরাজ। ৪ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের লাগাম টেনে ধরেছিলেন এই স্পিন অলরাউন্ডার। বাংলাদেশ কোচ মুশতাক আহমেদ পাকিস্তানের কিংবদন্তি। ৫ দিনের লড়াইয়ে তার কথাটাই হলো সত্যি। 

জেএ/এইচজেএস