রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের আগে থেকেই দেশের বাইরে ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও তার দেশে আসা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। একইসঙ্গে নিজ জেলা মাগুরা থেকে দলটির সংসদ সদস্য হওয়ার সুবাদে একটি হত্যামামলা দায়ের হয়েছে তার বিরুদ্ধে। যার রেশ ধরে পাকিস্তানে খেলতে বাংলাদেশ দলে থাকা সাকিবকে অপসারণ করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আজ (শনিবার) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) এই নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সজীব মাহমুদ আলম। এ নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনি জানেন যে একটা মামলা হয়েছে, তবে আমরা লিগ্যাল নোটিশ পাইনি আসলে। এ ব্যাপারে কথা বলতে পারব না এখন। মামলাটা এফআইআর হয়েছে। এফআইআরটা আসলে ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট যেটাকে বলে। এরপর ইনভেস্টিগেশন হবে। তারপর একটা দিকে যাবে মামলাটা।’

বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, ‘এফআইআর হয়েছে, এটার বিরুদ্ধে কিন্তু চার্জ গঠন হয়নি। এর আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব কঠিন। বেশ কিছুদিন আগে বিশাল গণ্ডগোল হয়েছে, অনেক প্রাণ নষ্ট হয়েছে। এখনও আমাদের সহমর্মিতা আছে, আমরা কিন্তু ভুলে যাইনি। এই মুহূর্তে টেস্ট ম্যাচ চলছে। বিসিবির সঙ্গে সাকিবের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক এবং ইম্প্লোয়ি বলতে পারেন। কালকের দিনের পর দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’

বর্তমানে রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ। সেই দলে আছেন সাকিবও, এ নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আপনারা জানেন যে একটা টেস্ট ম্যাচ চলছে। আজকে খুব ভালো সংবাদ যে আমরা চতুর্থ দিন শেষ করেছি। কালকে পঞ্চম দিন আছে ফলাফলের। আমার মনে হয় আমরা এই মুহূর্তে আসলে কোন স্ট্যান্স নেওয়ার মতো বিষয় চিন্তা করিনি। কালকের ম্যাচটা শেষ হলে আমরা তখন বসে ডিসিশন নেব। তখন লিগ্যাল নোটিশের ব্যাপারে কথা বলতে পারব, ওই সময় হয়তো আমরা পেয়ে যাব লিগ্যাল নোটিশটা।’

প্রসঙ্গত, গার্মেন্টসকর্মী রুবেলকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে ২২ আগস্ট ডিএমপির আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলায় দায়ের করা হয়। সাকিবকে মামলার ২৮ নম্বর এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া এই মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ আরও ১৫৬ জনকে।

এসএইচ/এএইচএস