ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ দেশের ১২টি জেলা ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। এসব অঞ্চলে আটকা পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। ক্রমশই খাবার, পানির সংকট আরও তীব্র হচ্ছে। এরই মধ্যে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়।

এমন বিপর্যয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে সচেতনতা বৃদ্ধি করছেন ক্রিকেটাররাও। তাওহিদ হৃদয় ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কী লিখব? কী লেখা উচিত? নিজেকে অসহায় মনে হয় যখন সরাসরি দেশের কোনো দুর্যোগে পাশে থাকতে পারি না। বন্ধুদের পাঠিয়েছি, ওরা মাঠপর্যায়ে কাজ করবে। তবে আমার কষ্ট লাগছে, যতটুকুই করা হবে, তা কী যথেষ্ট? তবু করতে হবে, সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু এখন না, পানি নেমে যাওয়ার পর পর্যন্ত বন্যার্তদের পাশে থাকতে হবে। নৌকা, ওষুধ, বিশুদ্ধ পানি, শুকনা খাবার যে যেভাবে পারেন।'

'ব্যাপার না। আমরা জন্ম থেকেই সংগ্রাম করতে জানি, এবারও করব। আল্লাহ এ যাত্রায়ও আমাদের রক্ষা করবেন ইনশা আল্লাহ। দুর্যোগ ঘটে গেছে, এখন পুরো বাংলাদেশ মিলে তা মোকাবিলা করার সময়। বসে থাকার সুযোগ নেই, সবাই নিজের সাধ্যমতো এগিয়ে আসি।'-যোগ করেন তিনি।

শরীফুল ইসলাম লিখেছেন, ‘রাব্বানাকশিফ আন্নাল আজা–বা ইন্না-মুমিনুন।’ ‘হে আমাদের রব, আমাদের থেকে আজাব দূর করুন; নিশ্চয় আমরা মুমিন হব।’ [সুরা আদ-দুখান: ১২] হে আল্লাহ, বন্যাকবলিত মানুষের প্রতি সহায় হোন, আমিন।’

এনামুল হক বিজয় ফেসবুকে লিখেছেন, ‘দেশের বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি। পুরা ফেনী তলিয়ে গেছে। বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক কিছুই নেই। দুয়েক ঘণ্টা পরে ফেনীর ভেতর থেকে আর কোনো খবর মোটেও পাওয়া যাবে না। বন্যার্ত মানুষের আর্তনাদ দেখে নিজেকে কোনোভাবেই শান্ত রাখতে পারছি না। এই দুর্যোগ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আল্লাহর রহমতে আমরা অচিরেই এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠব ইনশা আল্লাহ। এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দরকার একে অপরকে সহযোগিতা করা৷ আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুক।’

নুরুল হাসান সোহান ফেসবুকে বন্যাকবলিত এলাকার এক শিশুর ছবি পোস্ট করে লিখেছেন,  ‘এই ছবি দেখার পর নিজেরে সম্পূর্ণ অসহায় লাগতেছে। আল্লাহ দয়া করে তাদের এই পরিস্থিতিতে সাহায্য করুন।’

এইচজেএস