জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে শাহরিয়ার নাফিসকে সবাই চেনেন। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম অধিনায়কও ছিলেন তিনি। ক্রিকেট ছাড়ার পর ২০২০ সালে যোগ দেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগে। যেখানে তিনি এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিসিবির ১৫তম সভাপতি হিসেবে গতকাল (বুধবার) দায়িত্ব নিয়েছেন ফারুক আহমেদ। যিনি শাহরিয়ার নাফিসের আপন খালাতো ভাই।

নতুন বোর্ড সভাপতি হিসেবে ফারুকের যোগদানে গর্বিত নাফিসও। তবে আপন খালাতো ভাই হলেও তিনি পেশাদারিত্ব ও সৎ থাকার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে একসঙ্গে নিজেদের সর্বোচ্চ অবদান রাখার কথা জানান নাফিস।

ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে নতুন বিসিবি সভাপতিকে নিয়ে নাফিস বলেন, ‘ফারুক ভাইয়ের যে ধরনের পার্সোনালিটি, উনার যে ক্রিকেট মেধা ও ব্যাকগ্রাউন্ড, ওইটা নিয়ে আমি আসলে বেশি প্রাউড। ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা ব্যক্তিগতই থাকুক। উনি যেরকম মেধা নিয়ে খেলেছেন উনার ক্রিকেটে যে কনট্রিবিউশন। ফারুক ভাইয়ের মতো একজন পার্সোনালিটি আমাদের ক্রিকেট বোর্ডে এসেছেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি এজন্য খুবই খুশি।’

নাফিস মনে করেন কাজের জায়গা থেকে ফারুক আহমেদ শতভাগ সৎ এবং পেশাদার। নিজের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘ফারুক ভাই একদম শুরু থেকেই প্রফেশনাল মানুষ। আমি শুধু একটা উদাহরণ দিই, উনি যখন ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রধান নির্বাচক ছিলেন, তখন ১৩ সালে আমি জাতীয় দলের বাইরে ছিলাম। সেই সময়ে উনার ভাই হিসেবে আমাকে খুব স্বাভাবিকভাবে দলে সুযোগ দিতে পারতেন।’

‘বাংলাদেশের যেকোনো ক্ষেত্রে এটা স্বাভাবিকভাবেই হয়। উনি কাজের ক্ষেত্রে এতটাই সৎ মানুষ এবং প্রফেশনাল যে আমাকে প্রায়োরিটি দেননি। উনি প্রচন্ড সৎ, মেধাবী একজন মানুষ। খুব ভালো কাজ করবেন বাংলাদেশ ক্রিকেটে। এখন যে অবস্থায় আছে উনি আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন এমনটাই প্রত্যাশা’, আরও যোগ করেন নাফিস।

ফারুক আহমেদ বোর্ড সভাপতি হওয়ায় খুশির ছোঁয়া লেগেছে পরিবারেও। নাফিস বলেন, ‘পরিবারের সবাই খুবই খুশি ও গর্বিত। আমাদের পরিবার থেকে অনেকেই ক্রিকেট খেলেছি। শুরুতে ফারুক ভাই জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন ছিলেন। এরপর আমি ক্যাপ্টেন হয়েছি। তারপর উনি বোর্ডে ছিলেন এবং আমি এসেছি। আমার বাকি ভাইরা বিভিন্ন লেভেলের ক্রিকেট খেলেছে। তো এটা নিয়ে পারিবারিকভাবে আমরা খুব গর্বিত ফিল করি। আমি বলেন বা ফারুক ভাই বলেন আমার ভাইয়েরা বলেন সবার পরিচয় কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেটের মাধ্যমে। আমাদের যতটুকু সম্ভব আমরা চেষ্টা করব বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেবা করার জন্য।’

এসএইচ/এএইচএস