বৃষ্টিবিঘ্নিত রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট দিয়ে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সিরিজ। প্রথমদিনের খেলা শেষে দুই দলের অবস্থান প্রায় সমানে সমান। যদিও মাত্র ১৬ রানেই ৩ উইকেট হারানো স্বাগতিকরা দিন শেষ হওয়ার আগে ৪ উইকেটে ১৫৮ রান তুলেছে। দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের লক্ষ্য যত কম রানের মধ্যে সম্ভব শান মাসুদের দলকে আটকে রাখা। পেসার হাসান মাহমুদও বললেন নিজেদের লক্ষ্যের কথা।

প্রথমদিনের খেলা শেষে গতকাল (বুধবার) সংবাদ সম্মেলনে আসেন পেসার হাসান মাহমুদ। ওই সময় পাকিস্তানকে কত রানের মধ্যে আটকাতে চান– এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখনও ভাবিনি যদিও। চেষ্টা করব যত কম রানে তাদের বেঁধে রাখতে পারি। আমরা আগামীকাল নতুন প্ল্যান নিয়ে আসব। আমরা চেষ্টা করব সঠিক জায়গায় বল করে তাদের উইকেট নিতে। চেষ্টা করব যেন তাদের ২০০ রানের আশেপাশে আটকানো যায়।’

পাকিস্তানের টপ অর্ডারকে খুব একটা সুযোগ না দিয়ে চাপের মুখে রেখেছিলেন হাসান ও শরিফুল ইসলাম। দুজনেই দুটি করে চার উইকেট নিয়েছেন। কী পরিকল্পনা নিয়ে বোলাররা আক্রমণ শুরু করেছিলেন এ প্রসঙ্গে হাসানের জবাব, ‘আমাদের প্ল্যান ছিল আমরা যতটা পারি ব্যাটারকে খেলানো সামনে। নতুন বল ছিল মুভমেন্ট ছিল। চেষ্টা করেছি যতটা সামনে বল করা যায়। একটা লাইন মেইনটেইন করা যায়। আমরা চেষ্টা করেছি যতটুকু আমাদের সামর্থ্য ছিল। ইনশা-আল্লাহ সামনে আরও ভালো করব।’

প্রথমদিন মাঠ ভেজা থাকায় খেলা হয়েছে অর্ধেক দিনেরও কম। সবমিলিয়ে হয়েছে মাত্র ৪১ ওভার। যেখানে ৬ ওভার বাদে বাকি স্পেলগুলো এসেছে পেসারদের কাছ থেকে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ চারজন পেসার খেলানো উচিৎ ছিল কি না সেটি জানতে চাওয়া হয় হাসানের কাছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান পুরো পেসনির্ভর একাদশ সাজিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ডানহাতি এই টাইগার পেসার বলেন, ‘এটা কোচ, অধিনায়কের ব্যাপার। আমার মনে হয় তিন বোলারেও চলে!’

সাম্প্রতিক সময়ে টেস্টেই বেশি সুযোগ পেতে দেখা যায় হাসানকে। তিনি নিজেও লাল বলের খেলা উপভোগ করেন বলে জানিয়েছেন, ‘লাল বলে আমি উপভোগ করি বোলিং করতে। আমার অনেকগুলা অপশন থাকে বল করার। নিজের মত করে বল করা যায় টেস্টে। এটাই সুবিধা।’ এ ছাড়া আজ (বৃহস্পতিবার) দ্বিতীয় দিনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাসানের মন্তব্য, ‘রোদ উঠলে উইকেট পেসারদের জন্য সহায়ক হবে, গতি আর বাউন্স পাওয়া যাবে।’

এএইচএস