শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শেষদিকে পরিণত হয় সরকার পতনের এক দফায়। যেখানে তাদের সাফল্য কাল হয়েছে অনেকের জন্য। বিশেষ করে ক্রীড়াঙ্গনের যারা সরকারি দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন, তারা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অনেকটা তোপের মুখে তাদের দেশে ফেরা কঠিন হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় দেশে না এসে সাকিব আল হাসান সরাসরি দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন পাকিস্তানে। সেখানে আগামীকাল থেকে দু’দল দুই টেস্টের সিরিজে মুখোমুখি হবে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাকিবের বাংলাদেশে এসে সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলন করার কথা ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে তার আর দেশে ফেরা হয়নি। সিরিজ শেষেও ফেরার সম্ভাবনা কম। এর আগে কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে দেশের অস্থিরতা দেখেও নীরব থাকায় এই টাইগার অলরাউন্ডারকে দর্শকদের তোপের মুখে পড়তে হয়। রাজনৈতিকভাবে এমন ব্যাকফুটে পরিস্থিতি সাকিবের খেলায় প্রভাব ফেলবে কি না, সেই প্রশ্ন করা হয়েছিল নাজমুল হোসেন শান্তকে। 

আগামীকাল (বুধবার) রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে। তার আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের খেলায় রাজনীতির প্রভাব প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত বলেন, ‘না, আমার তেমন মনে হয় না। রাজনীতির কারণে সাকিবের পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়বে না। কারণ তিনি পেশাদার ক্রিকেটার এবং সত্যি বলতে আমরা সবাই তাকে ক্রিকেটার হিসেবেই বিবেচনা করি।’

একইসঙ্গে এই সিরিজে সাকিবের কাছে এবার বিশেষ কিছুই আশা শান্ত’র, ‘দীর্ঘদিন ধরে তিনি খেলে আসছেন। নিজের দায়িত্বটা জানেন, কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে হয় (সেটিও জানেন)। তো আমি তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করছি না। আশা করি, এই সিরিজে তিনি বিশেষ কিছুই করবেন।’

দেশের সাম্প্রতিক অস্থির পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন এই টাইগার অধিনায়ক, ‘লাস্ট কয়েকদিন খুবই টাফ টাইম গেছে আমাদের সবারই। দুঃখজনক সবাই খুবই স্ট্রাগল করেছে। যেটা আমরা কেউই আশা করি না। কিন্তু যেটা হয়ে গেছে ওটা নিয়ে পড়ে থাকার কোনো অবস্থান নেই, সামনের দিকে আগাতে হবে। যে পরিস্থিতিটা ছিল সেটা প্রত্যেকটা পরিবার, প্রত্যেকটা মানুষের জন্য কঠিন ছিল। আশা করছি সামনে যে দিনগুলো আসবে ভালোভাবে কাটাতে পারব। প্লেয়ার হিসেবে চাই যে, আমাদের খেলাগুলো ঠিকভাবে হোক।’

এসএইচ/এএইচএস