দিনভর আলোচনায় ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। গতকাল সোমবার সকালেই জানা গিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পরিদর্শনে যাবেন নতুন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ক্রীড়া উপদেষ্টার আগমনের ঠিক আগেই সেখানে হাজির হয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। দেশসেরা এই ওপেনারের আগমন পুরো পরিস্থিতিতে করেছে আরও নাটকীয়। 

এরইমাঝে চলে আসে বোর্ড পরিচালক এবং ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুসের পদত্যাগের কথা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে দীর্ঘদিনের পথচলা শেষ করেছেন সাবেক এই পেস বোলার। আশি ও নব্বইয়ের দশকে ছিলেন ক্রিকেটার। পরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে হয়েছেন বোর্ডের পরিচালক। জালাল ইউনুসের পদত্যাগের পর অপেক্ষা ছিল আরেক পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববির পদত্যাগের। 

ক্রিকেট পাড়ায় জোর গুঞ্জন ছিল, এনএসসি থেকে মনোনয়ন পাওয়া দুই পরিচালককেই পদত্যাগ করতে বলা হবে। সে জায়গায় নতুন করে আসবেন সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ এবং ক্রিকেট কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিম। জালাল ইউনুস সেই সিদ্ধান্ত মেনে সরে গেলেও, এখন পর্যন্ত নিজের অবস্থানে অনঢ় আছেন সাজ্জাদুল ববি। 

বর্তমান পরিস্থিতির ব্যাখ্যা অবশ্য দিয়েছেন এই পরিচালক। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে জানান, ‘আমি তাদের বলেছি যেহেতু এনএসসি আমাকে তাদের কাউন্সিলর বানিয়েছে আর তারপরেই আমি পরিচালক হয়েছি। তারাই আমাকে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাতে পারে।’ বর্ষীয়ান এই ক্রীড়া সংগঠকের কথায় পরিষ্কার, তিনি নিজ থেকে পদত্যাগে আগ্রহী নন। তবে এনএসসি থেকে অব্যহতি দেয়া হলে তা মেনে নেবেন। 

১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত টানা ক্রিকেট বোর্ডে ছিলেন আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি। ক্রিকেট সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন প্রতিকূল পরিস্থিতির মাঝেও। যদিও নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ডে তার অবস্থান ছিল নড়বড়ে। পরিচালক হয়েও ৮ বছর কোনো পদেই ছিলেন না তিনি। সবশেষ ২০২২ সালে হয়েছেন টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান। 

এদিকে একই গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জালাল ইউনুস জানিয়েছিলেন, ক্রিকেটের স্বার্থেই নিজের পদ থেকে সরে গিয়েছেন তিনি। জালাল ইউনুস বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেছিলেন দীর্ঘদিন। এরপর ২০২১ সালে ক্রিকেট অপারেশন্সের প্রধান হিসেবে আকরাম খান পদত্যাগ করলে তাকে সেই পদে নিয়ে আসেন নাজমুল হাসান পাপন। এরপর থেকেই গত ৪ বছর ধরে বিসিবির এই পদে ছিলেন জালাল। 

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কোটায় ২ জন পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি ও জালাল ইউনুস। এই দুই জনের একজন পদত্যাগ করলে সেখানে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ফারুককে সরাসরি মনোনয়ন দিতে পারবে। জালাল ইউনুস সরে দাঁড়িয়েছেন এরইমাঝে। এখন সাজ্জাদুল ববির সিদ্ধান্ত কেমন হয়, তাইই দেখার অপেক্ষা। 

জেএ