শুরুটা ভালোই হয়েছিল বাংলাদেশের জন্য। সিলেটে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চক্র শুরু করেছিল নাজমুল হোসেন শান্তরা। অধিনায়ক শান্তর শুরুটাও হয়েছিল ওই ম্যাচ দিয়েই। কিন্তু সেই একটাই সুখস্মৃতি বাংলাদেশের সামনে। এরপরে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই চক্রে আরও ৩ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যার সবকটিতেই হারের লজ্জা পেতে হয়েছে। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আবার ক্রিকেটের বনেদি এই ফরম্যাট দিয়ে মাঠের ক্রিকেটে ফিরবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ এই দুই টেস্ট। যেখানে বর্তমানে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা আছে একেবারেই তলানির দিকে। আটে থাকা বাংলাদেশের নিচে আছে কেবল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৯ ম্যাচে ১ জয়, ৬ হার এবং ২ ড্র তাদের। 

বাংলাদেশ ৪ ম্যাচে পেয়েছে ১ জয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই জয় অবশ্য বাংলাদেশকে নিয়ে যাবে সেরা চারে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানেই সিরিজ জয় করলে বাংলাদেশ ৬ ম্যাচে নিশ্চিত করবে ৩ জয়। পয়েন্ট শতাংশের হিসেবে ৫০ শতাংশ পয়েন্ট হবে টাইগারদের। তাতে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চারে উঠে আসবে শান্তদের নাম। 

তারা পেছনে ফেলবে শ্রীলঙ্কাকে। লঙ্কানরা ৪ ম্যাচ থেকে ২ জয় আর ২ হারে পেয়েছে ৫০ শতাংশ পয়েন্ট। ৬ ম্যাচে ৩ জয় আর ৩ হারে একই অবস্থানে আছে নিউজিল্যান্ডও। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ জয় পেলে বাংলাদেশ চলে যাবে নিউজিল্যান্ডের পাশেই। কিউইরা বর্তমানে আছে পয়েন্ট তালিকার তিনে। জানুয়ারির আগে তাদের কোনো টেস্ট ম্যাচ নেই। 

এক জয় এবং এক হারের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ৭২ পয়েন্টের মধ্যে বাংলাদেশের নামের পাশে থাকবে ২৪ পয়েন্ট। ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ পয়েন্ট থাকবে। এক্ষেত্রে পাকিস্তান ৬ষ্ঠ থেকে ৫ম স্থানে চলে যাবে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে যাবে ৮ম স্থানেই। 

আর দুই ম্যাচেই যদি টাইগাররা হেরে যায়, সেক্ষেত্রে পয়েন্ট শতাংশ হবে ১৬.৬৬। যা তাদের নিয়ে যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিচে। অন্তত ১ ড্র করলেও এমন লজ্জা এড়াতে পারবে বাংলাদেশ। 

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বর্তমানে শীর্ষ দুইয়ে আছে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া। ভারতের ঝুলিতে আছে ৬৮ দশমিক ৫২ শতাংশ পয়েন্ট। দুইয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়া অর্জন করেছে ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ পয়েন্ট। শীর্ষে থাকা দুই দলই ২০২৫ সালে মুখোমুখি হবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। 

জেএ