বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম পিচ বলা চলে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত গ্যাবা স্টেডিয়ামকে। কালের সাক্ষী হয়ে দেখেছে অনেক অনেক ম্যাচই। সেই গ্যাবা স্টেডিয়াম এবার যাচ্ছে অবসরে। হয়ত আর কখনোই ক্রিকেট নাও হতে পারে ব্রিসবেনের এই ঐতিহাসিক মাঠে। 

আজ রোববার অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্ত আর এফটিপি অন্তত সেই কথাই বলছে। আসন্ন বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে ভারতের বিপক্ষে এই মাঠে টেস্ট খেলবে অস্ট্রেলিয়া। এরপর ২০২৫ সালের অ্যাশেজেও থাকছে একটি ম্যাচ। এই নিয়ে টানা ৪৯ বছর অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট সূচিতে টেস্ট ম্যাচের আয়োজন করবে গ্যাবা। তবে ৫০তম গ্রীষ্ম কবে হবে, কিংবা আদতগেই হবে কি না তা এক বড় প্রশ্ন। 

সবশেষ খবর অনুয়ায়ী, উলন গ্যাবার দায়িত্বে থাকা কুইন্সল্যান্ড ক্রিকেট আগামী দুই বছরের জন্যই চুক্তি করেছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে। অ্যাশেজের পর ২০২৬ সালে অস্ট্রেলিয়া সফর করবে নিউজিল্যান্ড। এফটিপি অনুযায়ী সেই সিরিজে থাকবে চার টেস্ট। তবে সেখানে গ্যাবায় কোনো ম্যাচই রাখা হয়নি। যদি সেই একই গ্রীষ্মে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাদা বলের ক্রিকেট দেখা যেতে পারে। 

ব্রিসবেনের এই ঐতিহাসিক স্টেডিয়াম থেকে ক্রিকেট মূলত সরে যাবে অলিম্পিকের কারণে। ২০৩২ সালের অলিম্পিক আয়োজনের দায়িত্বে আছে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন। আর এই স্টেডিয়ামেরই মেয়াদ আছে ২০৩০ সাল পর্যন্ত। ব্রিসবেন শহরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গ্যাবা স্টেডিয়ামকে কেন্দ্র করেই সাজানো হবে অলিম্পিকের সমস্ত আয়োজন। যে কারণে বন্ধ থাকবে ক্রিকেট ম্যাচ। আর অলিম্পিকের পরেও এই স্টেডিয়াম আবার উন্মুক্ত হবে কি না তা নিয়ে আছে অনিশ্চয়তা।

সম্প্রতি হোবার্টে একটি ইনডোর ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান সরকার। এছাড়া পুরো দেশেই আরও বেশ কিছু স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণাও এসেছে। তাই ব্রিসবেনের গ্যাবায় আর কখনোই ক্রিকেট না ফিরলেও খুব একটা অবাক হওয়ার কিছু থাকছে না।

এমন সিদ্ধান্তে বেশ হতাশ ব্রিসবেন থেকে উঠে আসা অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অ্যালান বোর্ডার। অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো এই অধিনায়কের বক্তব্য, গ্যাবা স্টেডিয়ামকে একটি মাল্টিস্পোর্টস স্টেডিয়াম হিসেবেই সংস্কার করা হোক। এই ব্যাপারে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কোন পদক্ষেপ না নেয়ার সিদ্ধান্তেও হতাশ এই অধিনায়ক। 

জেএ