গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে অনেকটা আত্মগোপনে আছেন কয়েকবারের সংসদ সদস্য ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তার বোর্ড সভাপতির দায়িত্ব পালন করা একপ্রকার অসম্ভবই ছিল। এরই মধ্যে বিসিবি সভাপতির পদ থেকে পাপনের সরে দাঁড়াতে সম্মত হওয়ার কথা জানা যায়। 

ক্ষমতার পালাবদলে ক্রীড়াঙ্গনে অস্থিরতার মধ্যেই বিসিবির একজন পরিচালক সম্প্রতি জানিয়েছেন, সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি নিতে রাজি আছেন পাপন। এ প্রসঙ্গে বোর্ডের প্রভাবশালী পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনাও করছেন তিনি। যদিও এ ব্যাপারে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা আসেনি। 

পাপনের পদত্যাগের পর কী হতে পারে? অন্তবর্তীকালীন সময়ের জন্য সভাপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি হস্তক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ক্রিকেট বোর্ডকে সচল রাখতে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়েও নাজমুল হাসান পাপনের পরবর্তী সভাপতি নিয়োগ দেওয়া সম্ভব।

এরপরই গুঞ্জন শুরু হয়েছে তাহলে কে হবেন নতুন সভাপতি? আলোচনার টেবিলে কয়েক জনের নাম। সৈয়দ আশরাফুল হক, নাজমুল আবেদীন ফাহিমসহ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে গুঞ্জন চলছে। তবে সব ছাপিয়ে এখন আলোচনায় সাবেক ক্রিকেটার ও প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদের নাম।

জানা গেছে, গতকাল (শনিবার) ফারুক আহমেদের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। বৈঠকে বিসিবির গঠনতন্ত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে হয়েছে আলোচনা। সেখানে বোর্ডে কাজ করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ফারুককে।

আজ (রোববার) ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন। ফারুক বলেন, 'আমাকে বোর্ডে কাজ করার কথা বলা হয়েছে। আমাকে বলেছে আমি পজিটিভভাবে নিয়েছি। আগে একসময় বোর্ড থেকে রিজাইন করেছিলাম, এখন যদি পরিবেশ ভালো হয়। নিজের মতো কাজ করতে পারি তাহলে কেন নয়। ক্রিকেটকে তো ভালোবাসি। ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে তো মিটিং হচ্ছে।'

বিসিবি সভাপতি হওয়ার দৌড়ে আপনার নাম শোনা যাচ্ছে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেয়েছেন কি না এমন প্রশ্নে ফারুক বলেন, 'আমাকে সভাপতির জন্য এখনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। তাই এখনই বলতে পারছি না। সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব প্রস্তাব পাইনি, জিজ্ঞেস করেছে কাজ করব কি না। সভাপতি হবো কি না যখন প্রস্তাব দেবে তখন চিন্তা করব।'

এসএইচ/এফআই